Posts

Showing posts from October, 2018

কেমন ছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীর কাউয়ুম জামান আবু নসর আব্দুল হাই সিদ্দিকী (রহঃ)

Image
কেমন ছিলেন ফুরফুরা শরীফের গদ্দিনশীন পীর কাউয়ুমে জামান হযরত মাওঃ আবু নসর মুহাম্মদ আব্দুল হাই সিদ্দিকী (রহঃ) [ওয়াফাতঃ১৯৭৭]                                          একটি মনোরম দিনের সুন্দর সকাল। অপূর্ব সাজে সজ্জিত পৃথিবী। চারিদিকে রক্তিম আলো শুশোভিত পত্র-পল্লবে প্রাণের সঞ্চার করেছে। ধরার বুকে স্রষ্টা যেন শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছেন। এরই মাঝে খাদেম এসে সবিনয়ে আরজ করলো হুজুর কি নাস্তা করবেন? একটু চিন্তা করে হুজুর বললেন বাবা, নাস্তা যে করব পয়সা কোথায় ? কথা বলতে বলতে পকেটে হাত রাখলেন। পকেট থেকে দু-পয়সা বের করে দিয়ে বললেন, এক পয়সার চিড়া ও এক পয়সার চিনি নিয়ে এসো। হুকুম পেয়ে খাদেম দোকান খেকে চিড়া ও চিনি নিয়ে এলো। যতটুকু আনা হলো হুজুর তা থেকে কিছুটা খেলেন। বাকীটা রেখে দিতে বললেন। এমন সময় দোঁক মাদ্রাসার পরিচালক হাজি ফয়জুর রহমান সাহেব এসে হাজির হলেন। হুজুর বললেন বাবা নাশতা করেছেন কি? ওখানে চিড়া-চিনি রাখা আছে, নাশতা করে নিন। হাজি সাহেব হুকুম পালন করে নাশতা করলেন। তারপর হুজুরের খেদমতে হাজির হয়ে আদবের সাথে বললেন হুজুর, মাদ্রাসার মোদারেস সাহেবদের বেতন বাকী। এজন্য বার শত টাকা প্রয়োজন। কথা

মুসলমানদের বিয়েতে যে আমলগুলো আজ অবহেলিত

Image
ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদত পালন করার যেমন ইসলামি বিধান রয়েছে। ঠিক তেমনি এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে কিছু মাসনুন আমলও রয়েছে। যেগুলো আমাদের সমাজে খুবই অবহেলিত। সেই অবহেলিত আমলের মধ্যে সর্বপ্রথম রয়েছে বিয়ের খুতবা। বিয়ের খুতবা পাঠ করা সুন্নাত, আর নিরবতার সাথে শ্রবণ করা ওয়াজিব। মুহাম্মদ ইবনে সুলায়মান আল আনবারী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) আমাদেরকে বিবাহ ইত্যাদি অনুষ্ঠানের জন্য খুতবা শিক্ষা দিয়েছেন। (সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং ২১১৫) বিয়েতে এলানও একটি অন্যতম সুন্নাত আমল। কিন্তু সেটিও আমাদের সমাজে অবহেলিত। বিবাহের সুন্নাত হলো এলান বা প্রচার করে বিয়ের আকদ সম্পন্ন করা। বিনা কারণে গোপনে বিয়ে করা সুন্নতের খেলাফ। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা বিয়েকে প্রচার কর। (তিরমিজি:১ : ২০৭, ফাতওয়া রহীমিয়্যাহ ৮ : ১৪৭; আল বাহরুর রায়েক, কিতাবুন নিকাহ) বিয়ে মসজিদে সম্পন্ন হওয়াও একটি অন্যতম সুন্নাত। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, বিয়ে মসজিদে সম্পাদন কর। (তিরমিজি ১ : ১৪৭) কিন্তু বড় পরিতাপের ব্যাপার হলো মুসলমানদের মুসলমানিত্ব ও দ্বীনদারীর চরম অধঃপতনের এ যুগ

কথিত আহলে হাদীসদের আহলে তাক্বলীদ হওয়ার প্রমাণ পর্ব-২

Image
 প্রমাণ রেফারেন্সসহ নীচে তুলে ধরা হলো। আসুন আমরা গায়রে মুকাল্লিদ আলেমদের মনগড়া তাকলীদের কিছু নমুনা দেখিঃ কুরবানী ওয়াজিব না সুন্নত? ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব বুখারীর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বুখারী ১ম খন্ডের ১৩৪ পৃষ্ঠার হাদীসের ব্যাপারে লিখেন যে, এ হাদীস দ্বারা কুরবানী ওয়াজিব প্রমাণিত হয়। হানাফীদের মত এটাই। {তাইসীরুল বারী-২/৭০} এখানে তিনি স্বীকার করলেন যে, বুখারীর হাদীস হিসেবে কুরবানী করা ওয়াজিব। কিন্তু তার আরেক কিতাবে লিখেছেনঃ “কুরবানী করা সুন্নত”। {কানযুল হাকায়েক-১৯৩} বুখারীর সহীহ হাদীস রেখে কার তাকলীদে এ মত পোষণ করেন কথিত আহলে হাদীসরা? ইমাম বসে নামায পড়ালে মুক্তাদীও কি বসে নামায পড়বে? বুখারীর ১ম খন্ডের ৯৬ পৃষ্ঠার হাদীসে এসেছে যে, রাসূল সাঃ মৃত্যুর আগে অসুস্থ থাকার সময় বসে বসে নামায পড়িয়েছেন। কিন্তু সাহাবাগণকে বসার হুকুম দেন নি। ওয়াহিদুজ্জামান সাহেবও লিখেছেন যে, “রাসূল সাঃ বসে বসে নামায পড়ান। আর সাহাবাগণ রাসূল সাঃ এর পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন। {রফউল আজাজাহ আন সুনানি ইবনে মাজাহ-১/৪৩০} কিন্তু এ স্বীকারোক্তির পরও তিনি তার আরেক গ্রন্থে লিখেন যে, “আহলে হাদীসদের মাযহাব এ

কথিত আহলে হাদীসদের আহলে তাক্বলীদ হওয়ার প্রমাণ পর্ব-১

Image
কথিত আহলে হাদীসদের আহলে তাকলীদ হওয়ার বেশ কিছু প্রমাণ রেফারেন্সসহ নীচে তুলে ধরা হলো । ----------------------------------------- গায়রে মুকাল্লিদ তথা কথিত আহলে হাদীস ভাইদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উপর সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উত্থাপন করে থাকে তাকলীদ নিয়ে। তাদের ভাষ্যমতে কুরআন হাদীসের ইবারত ছাড়া কোন ব্যক্তির তাকলীদ করা জায়েজ নয়। বরং এটি শিরক। গায়রে মুকাল্লিদ মাসউদ সাহেবের লেখা বইয়ের কামাল আহমাদের অনূদিত সালাফী পাবলিকেশন্স ঢাকা থেকে মুদ্রিত “মাযহাব ও তাকলীদ” নামক বইয়ে তাকলীদকে একাধিক স্থানে শিরক এবং মুকাল্লিদকে মুশরিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম নামক এক গায়রে মুকাল্লিদের লেখা মাযহাবীদের গুপ্তধন নামক বইয়েও একই বক্তব্য স্থান পেয়েছে যে, তাকলীদ করা শিরক। আর মুকাল্লিদরা মুশরিক। আর গায়রে মুকাল্লিদ ভাইদের সংজ্ঞা অনুপাতে তাকলীদ হল, কুরআন হাদীসের দলীল ছাড়া কারো অন্ধ অনুসরণ করার নাম তাকলীদ। কিন্তু পরিতাপের সেই সাথে মজার ব্যাপার হল, আমাদের গায়রে মুকাল্লিদ ভাইয়েরা এ শিরকি কর্মটি করেছেন খুবই নিষ্ঠার সাথে। কুরআন হাদীসের দলীল ছাড়া অসংখ্য মাসআলায় ব্যক্তি

কথিত আহলে হাদীসরা নিজেদের ফতোয়ায় নিজেরাই মুশরিক

Image
 প্রমাণ নিচে দেয়া হলো। মাযহাব কুরআন ও হাদীসের বাইরের কোন কিছু নয়। বরং কুরআন ও হাদীসের সকল বিধানের একটি বিন্যস্ত রূপের নাম মাযহাব। সুতারাং এটি মাযহাবী বক্তব্য কুরআন ও হাদীসের নয়,এমনটি বলাই অজ্ঞতা। কুরআন ও হাদীসের বক্তব্যের উল্টো মাযহাবের বক্তব্য হতেই পারে না। যে মুজতাহিদ তার মাযহাব মানার প্রয়োজন নেই, এ ছাড়া সবার মানতে হবে । কারণ কুরআন হাদিস বুঝা এক বিষয় আর কুরআন হাদিস থেকে মাসাআলা উদ্ভাবন করা আরেক বিষয় । তাই তো ইমাম বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি, আবু দাউদ প্রমুখ সব ইমাম, বিজ্ঞ মুহাদ্দিস হওয়ার পরেও কোন না কোন মাযহাবের অনুসরণ করেছেন কারণ তারা মুহাদ্দিস ছিলেন মুজতাহিদ ছিলেন না আর মুজতাহিদ না হলে কুরআন হাদীস থেকে জীবনের প্রয়োজনীয় সব মাসআলা উদ্ভাবন করা সম্ভব নয় । যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদীসকে অনুবাদ ছাড়া মূল কিতাব থেকে বুঝতে সক্ষম নয়। জানে না আরবী শুদ্ধ করে পড়তেও। কোন হাদীসই সনদসহ মুখস্ত নেই। সনদের প্রতিটি রাবীর জীবনী মুখস্ত নয়। রাবীদের বিরুদ্ধে বা পক্ষে বলা মুহাদ্দিসীনদের বক্তব্য মুখস্ত নেই। মুহাদ্দিসীনগণ কোন কারণে রাবীকে দুর্বল বা সহীহ বলেছেন তা জানা নেই। আরবী ব্যকরণ শাস্ত্র সম্পর্

মাজহাব মানা ফরজ নাকি দ্বীন মানা ফরজ?

Image
একটি উদ্ভব প্রশ্নের সহজ পর্যালোচনা ___________________________________ আমআমা আহলে হাদিস জামাতের কিছুকিছু ভাইয়ের কাছে একটা প্রশ্ন প্রায় শোনা যায় যে, চার মাজহাবের এক মাজহাব মানা ফরজ তার দলিল কি?। আসলে এই ধরনের প্রশ্নগুলি সম্পূর্ণ উদ্ভব প্রশ্ন। যখন মাজহাবিগন মনেই করেননা চারেক এক মাজহাব মানা ফরজ তখন এই প্রশ্ন সম্মুখীন মাজহাবিদের হতেই হবে কেন আর এর উত্তর চাওয়া হয় কেন। যখন এই ধারনার অস্তিত্বই নাই তখন এই প্রশ্ন এলো কোথা থেকে?। আসলে এটি কিছু সুবিধাবাদি শায়েখদের উদ্ভব করা প্রশ্ন আর এই প্রশ্ন তাদেরই প্রোপাগান্ডার শিকার হওয়া যুবকদের শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। চারেক এক যেকোন মাজহাব মানা ফরজ একথা আমি কোন দিন শুনিনি। তবে একথা অস্বীকার করার নয় যে,  সাধারনদের জন্য একজন বিজ্ঞ আলিমের তাকলীদ করা অর্থাৎ তাঁর জ্ঞানের উপর আস্থা রেখে তার অনুসরণ করা ওয়াজিব। আহলে হাদিস ভাইদের মান্যবর সালাফি উলামা শায়েখ উসাইমিন রহঃ তো এমনটা করাকে ফরজ পর্যন্ত বলেছেন। তিনি বলেন, যেসব সাধারণ মানুষ সরাসরি শরীয়তের বিধি-বিধান জানতে সক্ষম নন তাদের জন্য তাকলীদ করা ফরয। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, فَسْـَٔلُوٓا أَهْل

ফিকহে হানাফী নিয়ে অপপ্রচার ও তার প্রতিবাদ

Image
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। বর্তমানে মুসলিম সমাজের যে অবস্থা তার দিকে লক্ষ করে বিভিন্ন মাসলাকি মতবিরোধ নিয়ে লেখা বন্ধ প্রায় করেই দিয়েছিলাম। কিন্তু ওয়ালয়ে প্রায় দেখি বিতর্ক মূলক পোষ্ট ভেষে আসে। তেমনি একটি বিষয় হলো ''ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেছেন 'ইযা সাহহাল হাদিস ফাহুয়া মাজহাবী' অর্থাৎ হাদিস যখন  সহীহ পাবে সেটিই  আমার মাজহাব। এই বিষয়টি আলোকপাত করার আগে আরেকটা বিষয় বলে নিতে চাই আর সেটা হলো আমাদের সমাজে কচুরিপানার মত ভেসে উঠা আহলে হাদিস জামাতের একটি অংশ যাদের অভ্যাস হলো মাদখালিদের মত অর্থাৎ একমাত্র নিজেদেরকেই সঠিক প্রমান করে বাকিদের বাতিল প্রমানে সর্বদা সচেষ্ট থাকাকে তাদের দাওয়াহ পদ্ধতির মূল লক্ষ্য বানিয়ে নেওয়া।  এরা এধরনের চিন্তাধার শিকার হয়েছে বলতে পারি, এও বলতে পারি এদেরকে শিকার করা হয়েছে । শিকার কিভাবে করা হয়েছে দেখা যাক। আমরা সকলেই জানি ফিকহে হানাফি অথা হানাফি মাজহাবের সূচনা খাইরুল কুরুনেই। খাইরুল কুরুন বলাহয় সাহাবা, তাবেইন ও তাবে-তাবেইনদের যুগকে আর ইমাম আবু হানিফা রহঃ তাবেই ছিলেন এতে সর্বজন স্বীকৃত। একসময় আহলে হাদিসদের একদল আলিম হানাফিদের সাথে

নামধারী আহলে হাদিস বিদাতী ফিরকার ইসলাম বিরোধী ৫০টি ভ্রান্ত মতবাদ

Image
কথিত আহলে হাদীসদের দলীলহীন ৫০টি মতবাদ **************************************************************************************** কুরআন হাদীস বিরোধী আহলে হাদীস মতাদর্শের কিছু নমুনা নিচে উপস্থাপন করা হল- মতবাদ-১ গায়র মুকল্লিদদের নিকট কাফেরদের জবাই করা পশু হালাল। আর তা খাওয়া জায়েজ। {গায়র মুকাল্লিদ আলেম নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান রচিত “দলীলুত তালেব”-৪১৩, গায়র মুকাল্লিদ আলেম নূরুল হাসান খান রচিত আরফুর জাদী-২৪৭, নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করে কুরআন হাদীসের রেফারেন্স না দিয়ে এখানে তারা আল্লামা শাওকানী রহ. এর অন্ধ তাকলীদ করেছেন। কুরআন ও হাদীসের দলিল ছাড়া এ তাকলীদ কি [কথিত আহলে হাদীসদের বক্তব্য অনুসারে] শিরক নয়? মতবাদ-২ একই সময়ে যতজন মহিলাকে ইচ্ছে বিয়ে করা জায়েজ। চার জনই হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। {গায়র মুকাল্লিদ আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান রচিত “যফরুল লাজী”-১৪১, ১৪২, এবং আরফুল জাদী-১১৫} এ মতবাদটি সরাসরি কুরআনের আয়াত বিরোধী। এখানে ও কথিত আহলে হাদীসরা কুরআন হাদীস ছেড়ে আল্লামা শাওকানী রহ. এর অন্ধ তাকলীদের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন। মতবাদ-৩ স্থলভাগের ঐ সকল

যয়ীফ হাদীস গ্রহণের কারণ কি? পর্ব-২

Image
কোন যঈফ হাদীসকে উম্মত যখন কবূলের দৃষ্টিকোন থেকে গ্রহণ করে তখন তার উপর আমল করা ওয়াজিব হয়ে যায়। কখনও কখনও কোন হাদীসের প্রতি সহীহ হওয়ার হুকুম লাগানো হয় যখন তা উম্মত (এর আয়িম্মায়ে কেরাম ও মুহাদ্দিসীন) কবূলের দৃষ্টিতে গ্রহণ করে। যদিও তার কোন সহীহ সনদ না থেকে থাকে। হাফেয সাখাবী (রহঃ) ফাতহুল মুগীছে বলেন – ”উম্মত যখন কোন যঈফ হাদীসকে কবূলের দৃষ্টিতে গ্রহণ করে তখন তার উপর আমল করা হবে বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী। এমনকি তা মুতাওয়াতের এর পর্যায়ে পৌছে যায়। ফলে তা অটাক্যভাবে প্রমাণীত কোন বিষয়কেও রহিত করে দেয়। এজন্যই ইমাম শাফী (রহঃ) “ওয়ারিসের জন্য কোন ওসিয়ত নেই” এই হাদীসের ব্যপারে বলেছেন মুহাদ্দিসীনে কেরাম উক্ত হাদীসটি সহীহ সনদে মেনে নেননি। তবে উম্মত তা গ্রহণ করেছে এবং তার উপর আমল করেছে। এমনকি কুরআনের ওসিয়তের আয়াতকে পর্যন্ত তা রহিত করে দিয়েছে।” - হাফেয সাখাবী, ফাতহুল মুগীছ, পৃষ্ঠা ১২০ আল্লামা সুয়ূতী (রহঃ) বলেন- ”ইবনু আব্দিল বার তার ইস্তেযকার নামক কিতাবে যখন তিরমিজী (রহঃ) এর এই বক্তব্য বর্ণনা করেন, ইমাম বুখারী সুমুদ্রের হাদীসকে সহীহ বলেছেন “তার পানি পবিত্র” অথচ মুহাদ্দিসীনগণ এ ধরনের সনদকে সহী

জয়ীফ হাদিস গ্রহণের কারণ কি? পর্ব-১

Image
হাফেয সাখাবী (রহঃ) ফাতহুল মুগীছে বলেন, “ইমাম আহমাদ (রহঃ) যঈফ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন যখন তিনি কোন অধ্যায়ে উক্ত হাদীস ছাড়া অন্য হাদীস না পান। ইমাম আবু দাউদও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। তারা উভয়েই হাদীসকে যুক্তি ও কিয়াসের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। আবু হানীফার (রহঃ) ব্যাপারেও অনুরূপ বলা হবে। আর ইমাম শাফী (রহঃ) মুরসাল রেওয়ায়েত দ্বারা দলীল পেশ করেন যখন তিনি তা ছাড়া অন্য কোন রেওয়ায়েত না পান। {হাফেয সাখবী, ফাতহুল মুগীছ, পৃষ্ঠা ১২০} আল্লামা সুয়ূতী (রহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে সাদ আল বাওয়ারদী থেকে বর্ণনা করেন, “ইমাম নাসাঈর মাযহাব ছিল তিনি প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির হাদীস আনতেন যাকে তরক করার ব্যপারে মুহাদ্দিসীনে কেরাম একমত হননি। ইবনে মানদাহ বলেন, অনুরূপভাবে ইমাম আবূ দাউদ ও তার পন্থা অবলম্বন করেছেন। তিনি দুর্বল সনদের হাদীস (তার সুনানে) নিয়ে আসেন যখন তিনি কোন অধ্যায় যঈফ সনদ ব্যতীত অন্য কোন হাদীস না পান। কেননা তার নিকট যঈফ সনদ মানুষের কিয়াস থেকে উত্তম। আর এটা ইমাম আহমাদ (রহঃ) এরও মত। তিনি বলেছেন, যঈফ হাদীস আমার নিকট মানুষের কিয়াসের চেয়ে অধিক পছন্দনীয়। [আল্লামা সুয়ূতী, তাদবীবুর রাবী, পৃষ্ঠা ৯৭]

লঘু কথা- বিড়াল আর রুটির ভাগাভাগি

Image
----------------------------------------------------------------------------- গাধার ঘরে রুটি রান্না হচ্ছিল। বাচ্চাগুলো ক্ষিদের জ্বালায় চিৎকার করছিল আর গাধা ও গাধী কষ্ট করে রুটি তৈরী করতে ব্যস্ত ছিল। সেই সময় সেখানে দুটো বিড়াল এলো আর রুটির থালায় ঝাঁপিয়ে পড়ল। একটা হৃষ্টপুষ্ট বিড়াল ধড়ফড় করে রুটি খাওয়া শুরু করে দিল, দ্বিতীয় বিড়ালটি তাকিয়ে দেখছিল, কিন্তু তার সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যেতেই সেও রুটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রুটি খাওয়া শুরু করে দিল। গাধার বাচ্চাগুলো নতুন তামাশা দেখে ক্ষিদে ভুলে গেল আর বিড়ালের যুদ্ধ দেখতে থাকলো। নিজের কষ্টের রুটি বিড়ালদের খেতে দেখে গাধার আর সহ্য হলো না, সে চোখগুলো গোল গোল করে বিড়ালদের দিকে দৌড়ালো। যখন বিড়াল দেখলো যে গাধা তাদের দিকে রেগে তেড়ে আসছে তখন তারা একে অপরের প্রতি চোখে ইশারা করলো। তখন হঠাৎ একটি বিড়াল কান্না শুরু করে দিলো, বলল- 70 মিনিট ধরে সে রুটি খেয়ে যাচ্ছে তুমি তাকে কিছু বললে না, আর যখন আমি তোমার বাচ্চার জন্য একটু রুটি কেড়ে নিলাম তখন তুমি আমাকেই মারতে চলে এলে! এইটুকু বলেই সে আর একটুকরো রুটি মুখে পুরে নিল। তখন দ্বিতীয় বিড়ালটি বলল, দেখো সে আবার তোমার সা

বিতর নামাজ তিন রাকা'আত পর্ব-২

Image
এক সালামে তিন রাকা‘আত বিতর এক সালামে তিন রাকা‘আত বিতর ও দ্বিতীয় রাকা‘আতে শুধু তাশাহহুদ: (১) সাবেত আল বুনানী রহ. বলেন, হযরত আনাস রা. আমাকে বলেছেন, হে আবূ মুহাম্মাদ (সাবেতের উপনাম) আমার কাছ থেকে শিখে নাও। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে গ্রহণ করেছি, আর তিনি আল্লাহ তা‘আলা থেকে গ্রহণ করেছেন। তুমি শেখার জন্য আমার থেকে অধিক নির্ভরযোগ্য অন্য কাউকে পাবে না। সাবেত আল বুনানী রহ. বলেন: ثُمَّ صَلّٰى بِيَ الْعِشَاءَ ثُمَّ صَلّٰى سِتَّ رَكَعَاتٍ يُسَلِّمُ بَيْنَ الرَّكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ بِثَلَاثٍ يُسَلِّمُ فِيْ آخِرِهِنَّ. অর্থ: অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে ইশার নামায পড়লেন। এরপর ছয় রাকা‘আত নামায পড়লেন এবং প্রতি দুই রাকা‘আতে সালাম ফিরালেন। তারপর তিন রাকা‘আত বিতর পড়লেন এবং সবশেষে সালাম ফিরালেন। (তারীখে দিমাশক, ইবনে আসাকির: ৯/৩৬৩, আনাস ইবনে মালেক অধ্যায়। সুনানে তিরমিযী হা. নং ৩৮৩১। আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশমিরী রহ. বলেন, এ হাদীসের সনদ মজবুত। তহাবী: ১/২০৬, ইবনে আবী শাইবাহ হা. নং ৬৯১০) (২) সা’দ ইবনে হিশাম রহ. বলেন: عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّ

বিতর নামাজ তিন রাকা'আত পর্ব-১

Image
প্রত্যেক প্রাপ্ত-বয়স্ক ও সুস্থ-মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলমান পুরুষ ও মহিলার উপর ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশার নামায আদায় করা ফরযে ‘আইন এবং বিতরের নামায আদায় করা ওয়াজিব। কোনো কারণে সময়মতো আদায় করতে না পারলে এসব নামায কাযা করে নেয়া আবশ্যক। বিতর নামায আদায় করার নির্ধারিত সময় হলো: ইশার ফরজ ও সুন্নাত আদায়ের পর থেকে সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। বিতর নামায দুই বৈঠকে এক সালামে তিন রাকা‘আত পড়তে হয়। এটাই নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আমল, সাহাবায়ে কিরামের আমল, তাবেঈ, তাবে-তাবেঈ ও তৎপরবর্তী মুসলিম উম্মাহর ধারাবাহিক আমল। বিস্তারিত আলোচনা নিম্নের শিরোনামগুলোর অধীনে পেশ করা হচ্ছে: ১. বিতর নামায তিন রাকা‘আত।  ক. নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আমল। খ. সাহাবায়ে কিরামের আমল। গ. তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈগণের আমল। ২. এক সালামে তিন রাকা‘আত বিতর ও দ্বিতীয় রাকা‘আতে শুধু তাশাহহুদ। ৩. তৃতীয় রাকা‘আতে রুকূর আগে দু‘আয়ে কুনূত। ৪. দু‘আয়ে কুনূতের আগে তাকবীর দিয়ে হাত উঠানো এবং পুনরায় হাত বাঁধা। ৫. দু‘আয়ে কুনূত কী? ৬. এক রাকা‘আত বিতরের দলীলসমূহ ও সেগুলোর পর্যালোচনা। ব