Posts

Showing posts from August, 2018

বন্ধুদের মাংস টানা ৭১ দিন খেয়েছেন যে ব‍্যক্তি

Image
ঝলমলে সকাল ছিল সেদিন, ১৯৭২ সাল। তুমুল তুষার ঝড়ে ঢেকে গেছে আন্দিজ পর্বতমালা। তারই মাঝে উড়ে যাচ্ছিল ৪০ সিটের ছোট প্লেনটা। গন্তব্য চিলে। বেশ কিছু সময় আগে উরুগুয়ে থেকে যখন প্ল্যানটি আকাশ ছুঁয়েছিল তখনও আবহাওয়া এতটা খারাপ ছিল না। প্রথমে প্লেনে তুমুল ঝাঁকুনি। তারপর হাওয়ার ধাক্কায় এদিক সেদিকের পাহাড়ে ধাক্কা মারতে মারতে প্লেনটা যখন শান্ত হল, তখন ৪০ জনের মধ্যে অনেকেই মৃত্যুর দেশে চলে গিয়েছেন। আর বাকিরা তখনও নিশ্চিত মৃত্যুর সঙ্গে জীবনের শেষ দান খেলতে ব্যস্ত। এদের মধ্যেই একজন ছিলেন পেদ্রো অ্যালগোর্টা। তারই রোমহর্ষক গল্প শুনুন। চারদিকে শুধু থেঁতলে যাওয়া লাশের ভিড়। তারই মাঝে কাটা ধানের মতো পড়ে রয়েছে কতগুলি মানব শরীর। ওরা মরেনি তখনও। বেঁচে আছে। কিন্তু এত ঠাণ্ডায় কতক্ষণ বাঁচা সম্ভব হবে কেউ জানে না। পেদ্রোরও একই অবস্থা। পাশের যাত্রীরা ততক্ষণে মৃত। পেদ্রো কোনোমতে রক্তভেজা লাশগুলোকে সরিয়ে প্লেনের ভাঙা দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। সঙ্গে আরও কয়েকজন। এখন কী হবে? হঠাৎই একজন আশার মশাল জানালেন। বললেন, চিন্তা নেই বন্ধুরা। এতক্ষণে প্লেন ভেঙে পড়ার খবর নিশ্চিত চিলে পৌঁছে গে

ঈদের নামাযে ছয় তাকবীরের দলীল

Image
ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ছয়টি নাকি বারোটি-এ সম্পর্কে মাযহাবের ইমামদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালেক, শাফিঈ ও আহমাদ রহ.-এর মতে, ঈদের নামাযে বারো তাকবীর দিতে হবে। আর ইমাম আবূ হানীফা, ইমাম আবূ ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ রহ.-এর মতে, উভয় ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ছয়টি। ছয় তাকবীরের দলীলের আলোচনার আগে জেনে নেয়া উচিত যে, তাকবীর সংক্রান্ত ইমামদের এ ইখতিলাফ শুধুমাত্র উত্তম-অনুত্তম নিয়ে। অর্থাৎ, যারা বারো তাকবীরের কথা বলেন, তাদের মতে ছয় তাকবীর দিলেও নামায হয়ে যাবে। কিন্তু বারো তাকবীর দেয়া উত্তম। তেমনিভাবে যারা ছয় তাকবীরের কথা বলেন, তাদের মতে বারো তাকবীর দিলেও নামায হয়ে যাবে। তবে উত্তম হলো, ছয় তাকবীর দেয়া। কেননা উভয় পদ্ধতি সাহাবাদের আমল থেকে সহীহ সনদে সাব্যস্ত। তাই একটি মত গ্রহণ করলে অপরটিকে তুচ্ছজ্ঞান করা যাবে না। এ সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বেশ সুন্দর কথা বলেছেন। তিনি বলেন: ‘সালফে সালেহীন-এর মধ্য থেকে প্রত্যেকেই শরী‘আতসম্মত পদ্ধতিতে নামায, দু‘আ, যিকির ইত্যাদি আদায় করেছেন। আর প্রত্যেক ইমামের ছাত্রগণ ও তার দেশবাসী উক্ত ইমামের অনুসৃত পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। কখনো প্রত্যেক ইমামের অনুসৃত প

কেন_ইতিহাস_তুমি_এমন_হলে

Image
🤔 ভারতের ইতহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলিমদের কোন অবদান নেই । তা যে কোন শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক পড়লে বোঝা যায় । এই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বহু লোকই প্রশ্ন তোলে মুসলমানদের এই দেশে থাকা উচিৎ নয়, কারন তারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেনি । এই বিষয় কে সামনে রেখে আজকে আমার এই পোস্ট … সত্য ইতিহাস বলছে মুসলিমদের তাজা রক্তে এই ভারত মুক্তি পেয়েছে । জেল খাটা ১ কোটি মুসলমানের আত্ম বলি দান ও ফাঁসি হওয়া ৫ লক্ষ মুসলমানের প্রানের বিনিময়ে আজ ভারত স্বাধীন সেই চেপে যাওয়া ইতিহাসের মুছে যাওয়া কিছু নাম আমি শেয়ার করলাম । • মাওলানা কাসেম নানুতবী সাহেব, উত্তর প্রদেশর দেওবন্দ মাদ্রাসাকে ব্রিটিশ বিরোধী এক শক্তিশালী কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলেন । সেই দেওবন্দ মাদ্রাসায় আজও কোরান হাদিসের তালিম দেওয়া হয় । • ভারতের ইতিহাসের পাতা ওল্টালে যাদের নাম অবশ্যই পাওয়া যায় তারা হল – গান্ধীজি, নেতাজী সুভায, অরবিন্দ, জোহরলাল, মোতিলাল..। এদের সমতুল্য নেতা আতাউল্লা বুখারী, মাওলানা হুসেন আহমাদ মাদানী , মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী , মাওলানা গোলাম হোসেন প্রমুখ..( এনারা বহু বার দীর্ঘ মেয়াদী জেল খেটেছেন) • ইংরেজ বিরোধী কর

কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এটি আদায় করা ওয়াজিব

Image
। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫ ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল। কার উপর কুরবানী ওয়াজিব মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে

ইতিহাস কথা বলে এক অনজানি কাহানী : কুতুবউদ্দিন আইবক

Image
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""" কুতুবউদ্দিন আইবকের একটি কাহিনী পড়েছিলাম সেটাই আপনাদের শোনাচ্ছি। ইনিই সেই বাদশা যিনি 'কুতুব মিনার' নির্মাণ করেছিলেন। তিনি শিকারে বেরিয়ে ছিলেন। দূর থেকে জঙ্গলের মধ্যে কিছু দেখে শিকার সন্দেহ করে তীর চালালেন। শিকার লুটিয়ে পড়লো। বাদশাহ শিকারের কাছে যখন পৌঁছালেন তখন চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল। কেননা সেটা কোনোও জানোয়ার ছিল না। বাদশাহ দেখলেন তার তীরের আঘাতে আহত হয়ে এক কিশোর পড়ে রয়েছে। কিছুক্ষণ পরে সেই আহত কিশোর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।  বাদশাহ খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলেন সেই কিশোর পাশ্ববর্তী গ্রামের বৃদ্ধার একমাত্র সন্তান। কিশোরটি সারাদিন জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করে আনত, আর সেই কাঠগুলি বিক্রি করে মা-ছেলের সংসার চলতো, পেট ভরতো। বাদশাহ কুতুবউদ্দিন নিজেই সেই বৃদ্ধার কাছে গেলেন এবং বললেন- আম

উম্মতের মামা আমিরে মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মর্যাদা

Image
_______আমিরে মুয়াবিয়া রাযিঃ_______ সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে পরম ভাগ্যবান তেরোজন মুসলমান ছিলেন,যাঁদের সৌভাগ্য হয়েছিল কোরআন লেখার দায়িত্ব পালন করার,যাদেরকে বলা হয়  'কাতিবে ওহি' বা ওহি লেখক। এই সিরিয়েলে ছয় নাম্বার নামটি হচ্ছে উম্মতের মামা হযরত মুযাবিয়া রাযিঃ এর। ____(সিয়রু আলামিন লুবানা ৩/১২৩) . [ মামা কিন্তু মজা করে বলা হয়নি। রাসূলের স্ত্রীগণ উম্মতের মা। উম্মুল মু'মিনীন হযরত উম্মে হাবিবা'র আপন ভাই ছিলেন হযরত মুয়াবিয়া। তাহলে মা'য়ের ভাই মামা হলেন না?] । তার মানে কোরআনের শুরুতে 'যালিকাল কিতাব'র যালিকা'র মধ্যে ও মুয়াবিয়াকে পাওয়া যায়। সেই মুয়াবিয়াকে নিয়ে তুমি বকওয়াস করো! তুমি মুয়াবিয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করো!  তোমার সাহস কত! তুমি কি জানো মুয়াবিয়ার অবস্থান?  না জানলে জেনে নে.? । ১।•••• -যে মুয়াবিয়ার শানে রাসূল সাঃ বলেছেন, " হে আল্লাহ, মুয়াবিয়াকে কোরআন এবং হিসাবে পারদর্শিতা দাও। আর  তাকে আযাব থেকে দূরে রেখো " (সিয়রু আলামিন লুবানা -৩/১২৪) . ২।••••-যে মুয়াবিয়ার জন্য রাসূল সাঃ দোয়া করেছেন, " হে আল্লাহ্‌, মুয়াবিয়াকে হেদায়াতকা

তৃতীয় রাকাতে রুকুর আগে দূয়ায়ে কুনুত

তৃতীয় রাকা‘আতে রুকূর আগে দু‘আয়ে কুনূত হযরত আসেম রহ. বলেন: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ القُنُوتِ فِي الصَّلاَةِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، فَقُلْتُ: كَانَ قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَهُ؟ قَالَ: قَبْلَهُ، قُلْتُ: فَإِنَّ فُلاَنًا أَخْبَرَنِي عَنْكَ أَنَّكَ قُلْتَ بَعْدَهُ، قَالَ: كَذَبَ «إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الرُّكُوعِ شَهْرًا ... অর্থ: আমি হযরত আনাস রা.কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ কুনূত আছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, রুকূর আগে না পরে? তিনি বললেন, রুকূর আগে। বললাম, একজন আমাকে বললো- আপনি রুকূর পরে কুনূত পড়ার কথা বলেছেন। তিনি বললেন, সে ভুল বলেছে। রুকূর পরে তো নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু এক মাস কুনূত পড়েছেন। (যা ছিলো মূলত কুনূতে নাযেলা) (সহীহ বুখারী হা. নং ৪০৯৬) হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন: وَقَدْ وَافَقَ عَاصِمًا عَلَى رِوَايَتِهِ هَذِهِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ كَمَا فِي الْمَغَازِي بِلَفْظِ سَأَلَ رَجُلٌ أَنَسًا عَنِ الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ أَوْ عِنْ
তৃতীয় রাকা‘আতে রুকূর আগে দু‘আয়ে কুনূত হযরত আসেম রহ. বলেন: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ القُنُوتِ فِي الصَّلاَةِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، فَقُلْتُ: كَانَ قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَهُ؟ قَالَ: قَبْلَهُ، قُلْتُ: فَإِنَّ فُلاَنًا أَخْبَرَنِي عَنْكَ أَنَّكَ قُلْتَ بَعْدَهُ، قَالَ: كَذَبَ «إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الرُّكُوعِ شَهْرًا ... অর্থ: আমি হযরত আনাস রা.কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ কুনূত আছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, রুকূর আগে না পরে? তিনি বললেন, রুকূর আগে। বললাম, একজন আমাকে বললো- আপনি রুকূর পরে কুনূত পড়ার কথা বলেছেন। তিনি বললেন, সে ভুল বলেছে। রুকূর পরে তো নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু এক মাস কুনূত পড়েছেন। (যা ছিলো মূলত কুনূতে নাযেলা) (সহীহ বুখারী হা. নং ৪০৯৬) হাফেজ ইবনে হাজার রহ. বলেন: وَقَدْ وَافَقَ عَاصِمًا عَلَى رِوَايَتِهِ هَذِهِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ كَمَا فِي الْمَغَازِي بِلَفْظِ سَأَلَ رَجُلٌ أَنَسًا عَنِ الْقُنُوتِ بَعْدَ الرُّكُوعِ أَوْ عِنْ

সিরিয়ার_কারাগারে_নারী_নির্যাতনের_শিকার_হচ্ছে

Image
মুনা মুহাম্মাদের এক একটি ক্ষণ মনে আছে৷ বন্দি জীবনের প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি যন্ত্রণা আর অত্যাচার৷ ‘‘আমার মাথা একটি প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে বাধা ছিল৷ এরপর উলটো করে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিল,'' বলছিলেন ৩০ বছর বয়সি মুনা৷ এই দুঃসহ স্মৃতি তাঁকে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়৷ কারাকক্ষের প্রহরী বলছিলেন, এভাবে মাথার ভেতর থেকে সব ‘কুচিন্তা' বেরিয়ে আসবে৷ সিরিয়ায় সংগীতের শিক্ষক ছিলেন মুনা৷ দাঈর এজ-জর-এ প্রেসিডেন্টবাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকরায় ২০১২ সালে গ্রেফতার হন তিনি৷ জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হলেও সেনা গোয়েন্দারা পরে আবার তাঁকে গ্রেফতার করেন৷ তাঁকে দামেস্কে নিয়ে আসা হয়৷ সিরিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের যেই সেলটি তাঁকে গ্রেফতার করেছে, সেই সেলকে ‘ব্রাঞ্চ অফ হেল' বা ‘নরকের শাখা' বলে ডাকা হয়৷ যে লোকটি তাঁকে অত্যাচার করছিলেন, একদিন তিনি মুনাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমার হৃৎপিণ্ড কোথায়?'' মুনার ভাষায়, ‘‘আমি আঙুল দিয়ে দেখাতেই, সেখানে আঘাত করা হলো৷'' নরকের শাখার দিনগুলি মাসের পর মাস মুনাকে কখনো একটি নির্জন কক্ষে বা কখনো অন্যদের সঙ্গে বন্দি রাখা হতো৷ মুনা মুহাম্মাদ ‘

শীয়া অঙ্গ সংগঠন মোনাফেক কথিত আহলে হাদিস ও লা-মাযহাবীদের কিছু ভ্রান্ত আক্বিদা

Image
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।  তথাকথিত ‘ আহলে হাদিস ‘ দলটির কিছু ভ্রান্ত আকিদা নিচে সহ-প্রমাণে তুলে ধরলাম। যাতে আহলুস সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে ও শীয়াদের পক্ষে গোপনে এদের ভয়ংকর নীল নকশা আর বেশি দূর এগুতে না পারে। যাতে স্বাধারণ মানুষদের এদের সহিহ’র মোড়কে সহিহ ধোকায় নিপতিত হতে না হয়, সেজন্য আমি তাদের গুটিকতক মেকি ভন্ডামির জারিজুরি প্রকাশ করে দিলাম। ১- আহলে হাদিসদের রচিত ‘ হাদিয়াতুল মাহদি ‘ পুস্তকের ১১০ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “ জুমার খুতবায় খোলাফায়ে রাশেদার নাম নেয়া বিদয়াত। ” (নাউযুবিল্লাহ) । . ২- আহলে হাদিসদের রচিত ‘ তানবীরুল আফা-ক ‘ পুস্তকের ১০৭ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “ খোলাফায়ে রাশেদা অর্থাৎ হযরত আবু বকর, হযরত উমর, হযরত উসমান এবং হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) উনারা শরীয়তের খেলাফ হুকুম জারি করতেন।”  (নাউযুবিল্লাহ)। . ৩- আহলে হাদিসদের রচিত ‘ কাশফুল হিজাব ‘ পুস্তকের ২১ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “ হযরত আয়েশা (রা) আলীর সাথে যুদ্ধ করে মুরতাদ হয়ে গেছেন। ” (নাউযুবিল্লাহ)। . ৪- আহলে হাদিসদের রচিত ‘ হাদিয়াতুল মাহদি ‘ পুস্তকের ১০৩ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “ আইম্মায়ে ইছনা আশারা যারা শীয়াদের ইমাম, আম

গোসলের সুন্নাত সমূহ

১. ফরয গোসলের পূর্বে ইস্তিঞ্জা অর্থাৎ পেশাব করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১০২০) ২. শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়া। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৬৯৪) ৩. পৃথকভাবে উভয় হাত কব্জিসহ ধোয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৪৮) ৪. শরীর বা কাপড়ের কোন স্থানে নাপাকী লেগে থাকলে প্রথমে তা তিনবার ধুয়ে পবিত্র করে নেয়া। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৩২১) ৫. নাপাকী লেগে থাকলে বা না লেগে থাকলে সর্ব অবস্থায় গুপ্তাঙ্গ ধৌত করা। এরপর উভয় হাত ভালভাবে ধুয়ে নেয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৪৯) ৬. সুন্নাত তরীকায় পূর্ণ উযূ করা। তবে গোসলের স্থানে পানি জমে থাকলে, গোসল শেষ করে পা ধৌত করবে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৬০) ৭. প্রথমে মাথায় পানি ঢালা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৫৬) ৮. এরপর ডান কাঁধে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৫৪) ৯. এরপর বাম কাঁধে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৫৪) ১০. অতঃপর অবশিষ্ট শরীর ভিজানো।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-২৭৪) ১১. সমস্ত শরীরে এমনভাবে তিনবার পানি পৌঁছানো, যেন একটি পশমের গোড়াও শুষ্ক না থাকে। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯/ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং- ৮১৩) তবে নদী-পুকুর ইত্যাদিতে গোসল

কুরবানীর_মাসায়েল

Image
. কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫ ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল। . কার উপর কুরবানী ওয়াজিব ------------------------- মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আস