Posts

Showing posts from July, 2018

শের আলী আফ্রিদি, ইতিহাস তোমায় মনে রাখেনি আমরা কিন্ত ভুলিনি

Image
 কিন্তু মানুষ তোমায় মনে রেখেছে। আন্দামানের মাটিতে বৃটিশ কাউন্সিলর ও ভারতের চতুর্থ ভাইসরয় অত্যাচারী নৃশংস লর্ড মেয়োকে মৃত্যু উপহার দেবার কাহিনী আমরা কতো সহজে ভুলে গেলাম। লর্ড মেয়োর নামে কলকাতায় মেয়ো রোড তো আছে কিন্তু তোমার নামে কিছুই নেই। ক্ষমা করে দিও আমাদের। শের আলী 1860 সালে পাঞ্জাবের মাউন্ট পুলিশে ব্রিটিশ প্রশাসনের পক্ষে কাজ করেছিলেন। তিনি খাইবার এজেন্সি (বর্তমানে একটি ফেডারেল শাসিত উপজাতীয় এলাকা) থেকে তিরহা উপত্যকা থেকে এসে পেশোয়ারের কমিশনারের কাজ করেন। পরে একটি অশ্বারোহী রেজিমেন্টে অম্বালায় ব্রিটিশদের চাকরি করেন। তিনি প্রেসিডেন্সি বাহিনীতে (ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরি করেন), 186২ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের জন্য রোহিঙাড এবং ওউডডাইটিংয়ে চাকরি করেন। তিনি পেশোয়ারের একটি ঘোড়দৌড়ের সেনাপতি হিসেবে এবং রেনেল টেলরকে মাউন্ট করা ক্রম অনুসারে মেজর হিউ জেমসের অধীনে কাজ করেছিলেন। বৃটিশ বাহিনীতে তার ভালো কাজের জন্য তাকে একটি ঘোড়া, পিস্তল এবং শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। শের আলী ইউরোপীয়দের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন এবং টেলরের শিশুদের যত্ন ও দেখাশোনা করতেন। একটি পারিবারিক শত্রুত

বীর্য পাক নয়; নাপাক,সহীহ হাদীস মানার দাবিদার খবিশদের অপপ্রচার থেকে দূরে থাকুন!

Image
আসলেই কি বীর্য পাক....????? .===================== ____________উত্তরঃ __________↓ . ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ ﺍﺟﻤﻌﻴﻦ . ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ . . প্রথমে ধন্যবাদ জানাই অাপনাকে খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করার জন্য। যা বর্তমান সময়ে খুব অালোচিত একটি বিষয়। . . এই বিষয়টি নিয়ে কিছু সংখ্যক ভায়েরা সমাজে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তাই অাসুন মুল বিষয়টি কি তা নিয়ে অালোচনা করি। . . বীর্য পাক না নাপাক তা নিয়ে সোনালী যুগ তথা সাহাবায়ে কিরাম রাঃএর যুগেও মতবিরোধ ছিল। . এমনি ভাবে তাবেঈগণের মধ্যও একই মতবিরোধ ছিল। এমনি ভাবে অাইম্মায়ে মুজতাহিদগণের মধ্যেও মতবিরোধ ছিল। . তাই এই ব্যাপারে মাযহাব হল ২টি। . প্রথম মাযহাব —————- যারা বলেন বীর্য পাক তাদের মধ্যে হলেন, . সাহাবী হযরত অাব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ অাব্দুল্লা ইবনে অাব্বাস রাঃ ইমামগণের মধ্যে, ইমাম শাফেয়ী রাহঃ ইমাম অাহমদ ইবনে হাম্বল রাহঃ প্রমুখ। ইমাম নববী রাহঃ বলেন – মানুষের বীর্যরের ব্যাপারে ইমাম শাফেয়ী রাহঃ এর তিনটি মত পাওয়া যায়। . ১। নারী- পুরুষের উভয়ের মনি নাপাক। ২।নারীর মনি নাপাক এবং পুরুষের মনি পাক

ইমামে আজম আবু হানিফা (রহঃ) সমালোচকদের পরিনিতি কি?

Image
ইমাম খুরাইবী বলেনঃ ইমাম আবু হানিফার সমালোচনা যে করবে , সে হয় জাহেল অথবা হিংসুক । ( মানাকিবে আবু হানিফা / ইমাম জাহাবী – ৩২ ) ইমাম খুরাইবী ছিকাহ ছিলেন এবং ইমাম বুখারি তার সনদে বুখারিতে হাদিস এনেছেন । বাক্যটা পড়ার পর মনে হল আসলেই ইমাম আবু হানিফার সমালোচনা এই দুই শ্রেণীর মানুষই করে এবং এই শ্রেণীর প্রানী আমাদের দেশেও কিছু পাওয়া যায়।   তারা সহ্য করতে পারে না। মনে মনে বলে , আরে আমিও একটু - আকটু আরবী পারি মানুষ কেন ইমাম আবু হানিফাকে মানবে আমাকে না মেনে ? একটা বাস্তব বিষয় হল , বর্তমানে কেউ যদি বলে ইমাম আবু হানিফার কথাটাও সহি এবং আমার টাও সহি , তাহলে বর্তমান বাজারে এটা চলবে না চাই সে যতবড় আলেম হোক । কারণ সচেতন কেউ শরীয়তের ক্ষেত্রে এমন রিক্স নিবে না । কেননা কেউ চাইবে না ইমাম আবু হানিফার মত এতবড় একজন মুজতাহিদ , ফাকিহ , ইমাম , যার প্রশংসা বা জীবনী লিখে গেছেন অনেক বড় বড় ব্যাক্তিরা , তার কথা ছেড়ে এমন কারো কথা মানবে , যে এখনো ফাকিহ হতে পারেনি মুজতাহিদ হওয়া তো বহুত দূরের কথা । তাই ভেজাল লা মাজহাবী কোম্পানি একটা মূলনীতি বানাল , “ ইমাম আবু হানিফা মানুষ ছিলেন , তারও ভুল হতে পারে ” । এই মূলনীতি

সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে??

Image
চন্দ্র গ্রহন ও সূর্য গ্রহেনর সময় বিধি নিষেধ নিয়ে সমাজে নানা ধারনা প্রচলিত আছে। এসময় গর্ববতী মহিলাদের বাইরে না বেরুনো, গ্রহনের আগের রান্না করা খাবার গ্রহন চলাকালীন সময় না খাওয়া, না শোয়া বা ঘুমানোসহ অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। আদতে আধুনিক বিজ্ঞান বলে এসব ধারনার কোন ভিত্তি নেই। এটি প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের স্বাভাবিক ঘটনা। জোয়ার-ভাঁটার পরিবর্তন ছাড়া এর অন্য কোন প্রভাব নেই। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?? অধিকাংশ সময়েই আমাদের দেশের মানুষেরা অত্যন্ত আনন্দ আর কৌতুহল নিয়ে সূর্যগ্রহন এবং চন্দ্রগ্রহন প্রত্যক্ষ করে থাকে। সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহনের সময় হয় তখন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেত। তখন তিনি সাহাবীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আরবীতে সূর্যগ্রহণকে 'কুসূফ' বলা হয়। আর সূর্যগ্রহণের নামাজকে 'নামাজে কুসূফ' বলা হয়। দশম হিজরীতে যখন পবিত্র মদীনায় সূর্যগ্রহণ হয়, ঘোষণা দিয়ে লোকদেরকে নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাদিক দীর্ঘ নামাজের জামাতের ইমামতি করেছিলেনন।

আলবানী সাহেব ইমাম বুখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করেছেন,

Image
আলবানী সাহেব ইমাম বুখারী রহঃ  কে অমুসলিম আখ্যায়িত করেছেন, ইমাম বুখারী রহঃ , বুখারী শরীফের 'কিতাবুল তাফসীর' এর সুরা কাসাস এর ৮৮ নং আয়াত যে ব্যাখ্যা করেছেন, সে সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, " এ ধরণের ব্যাখ্যা কোন মুমিন -মুসলমান দিতে পারে না, তিনি বলেন, এ ধরণের ব্যাখ্যা মূলত কুফরী মতবাদ 'তা'তীলের ' অন্তর্ভুক্ত। ! ইমাম বুখারী সুরাহ কাসাসের ৮৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, "আল্লাহ্‌ র সত্তা ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। ". ! ইমাম বুখারী  যদি সালাফী  বা লা-মাযহাবীদের নিকট অমুসলিম হয়ে থাকেন, তবে তাহলে হাদীস বা সালাফীরা বা লা-মাযহাবীরা কিভাবে তার বর্ণিত হাদীস গ্রহণ করেন? ! দলিল: [ফাতাওয়া শায়েখ আলবানী -৫২৩পৃ]

কসর ও সফর সংক্রান্ত জরুরী মাসায়েল

Image
কোরানে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায় কোনো আপত্তি নেই।’ সূরা নিসা : ১০ কসর শুরু করার স্থান কি হবে? সফরকারী ব্যক্তি সফরের নিয়তে ঘর থেকে বের হলেও সে নিজ এলাকা/মহল্লায় থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই নামায আদায় করবে। যখন সে এলাকা ত্যাগ করবে, তখন থেকে নামাজ কসর করবে। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চয়ই রাসুল (সা.) (বিদায় হজ্জের নিয়তে) মক্কা সফরের সময় মদীনায় যোহরের নামায চার রাকায়াত আদায় করেছেন। আর (সফর শুরু করে) যুলহুলায়ফা নামক স্থানে পৌছে আসরের নামায দু’রাকায়াত আদায় করেছেন। (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত-১২৫৪) # এখানে যুলহুলায়ফা নামক স্থানটি মদীনা হতে প্রায় মাইল দূরে অবস্থিত, যেখানে এসে রাসুল (সা.) নামায কসর করেছেন। কতদিনের নিয়তে সফর করে গন্তব্যস্থলে পৌছে কসর করবেন? ... ## যে স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সফর করা হবে, সে স্থানে যদি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত হয়, তাহলে ব্যক্তি গন্তব্যস্থলে পৌছে তার নামাজ কসর করবেন। ## আর যদি গন্তব্যস্থলে তার ১৫ দিনের বেশী থাকার নিয়ত হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক চার রাকায়াত নামাজই পড়বেন। ## যদি কেহ ১৫ দিনের কম অবস্থান