ইমামে আজম আবু হানিফা (রহঃ) সমালোচকদের পরিনিতি কি?
ইমাম খুরাইবী বলেনঃ ইমাম আবু হানিফার সমালোচনা যে করবে , সে হয় জাহেল অথবা হিংসুক । ( মানাকিবে আবু হানিফা / ইমাম জাহাবী – ৩২ )
ইমাম খুরাইবী ছিকাহ ছিলেন এবং ইমাম বুখারি তার সনদে বুখারিতে হাদিস এনেছেন ।
বাক্যটা পড়ার পর মনে হল আসলেই ইমাম আবু হানিফার সমালোচনা এই দুই শ্রেণীর মানুষই করে এবং এই শ্রেণীর প্রানী আমাদের দেশেও কিছু পাওয়া যায়। তারা সহ্য করতে পারে না। মনে মনে বলে , আরে আমিও একটু - আকটু আরবী পারি মানুষ কেন ইমাম আবু হানিফাকে মানবে আমাকে না মেনে ?
একটা বাস্তব বিষয় হল , বর্তমানে কেউ যদি বলে ইমাম আবু হানিফার কথাটাও সহি এবং আমার টাও সহি , তাহলে বর্তমান বাজারে এটা চলবে না চাই সে যতবড় আলেম হোক । কারণ সচেতন কেউ শরীয়তের ক্ষেত্রে এমন রিক্স নিবে না । কেননা কেউ চাইবে না ইমাম আবু হানিফার মত এতবড় একজন মুজতাহিদ , ফাকিহ , ইমাম , যার প্রশংসা বা জীবনী লিখে গেছেন অনেক বড় বড় ব্যাক্তিরা , তার কথা ছেড়ে এমন কারো কথা মানবে , যে এখনো ফাকিহ হতে পারেনি মুজতাহিদ হওয়া তো বহুত দূরের কথা । তাই ভেজাল লা মাজহাবী কোম্পানি একটা মূলনীতি বানাল , “ ইমাম আবু হানিফা মানুষ ছিলেন , তারও ভুল হতে পারে ” । এই মূলনীতির উপর ভর করে তাদের সব ভেজাল বাজারে চালাচ্ছে । এবং তাদের ক্রেতারা প্রায় সবাই ইমাম আবু হানিফার নামটাই আরবীতে লিখতে পারে না । কোন একটি মাসালতে ইমাম আবু হানিফার কথা কী আসলেই ভুল ছিল , না কী এই লোক উল্লেখিত মূলনীতির উপর ভর করে তার একটা ভেজাল আমার কাছে চালিয়ে দিচ্ছে , এই ভাবে প্রতিটি কথা যাচাই করা যোগ্যতা রাখা তো বহুত দূরের কথা ?
লা মাজহাবী ফেতনা থেকে নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান ।
جزاكم الله خيرا
Comments
Post a Comment