ইসলামী গজল গাওয়া বা শোনা কি জায়েজ?




আমরা অনেক সময় ইসলামী সঙ্গীত অর্খাৎ গজল শুনে থাকি। এমন কি অনেক সময় অনেক আলেমকেও গজল শুনতে দেখা যায়।
এখন আমার প্রশ্ন হলো, ইসলামী সংগীত তথা গজল গাওয়া বা শুনা কি জায়েয? শরীয়ত এ ব্যপারে কি বলে?


কিতাবাদী অধ্যা্য়নে এ কথা জানা যায় যে, ইসলামী সংগীত তথা হামদ-নাত, জাগরণী সংগীত ইত্যাদি গাওয়া এবং শোনা জায়েজ আছে।
শর্ত হলো,
এর মাঝে বাজনা ইত্যাদি থাকতে পারবে না। যদি বাজনা ইত্যাদি থাকে তাহলে গানের হুকুমে হয়ে হারাম হয়ে যাবে।
কোন ধরনের শিরিকী কোন কথা থাকতে পারবে না। শিরিকের কিছু থাকে তাহলে হারাম হবে।
এক কথায় কোন হারাম কথা বা হারাম কিছু থাকতে পারবে না।

এর সাথে সাথে খেয়াল করতে হবে, যেন এর দ্বারা ইবাদতের মাঝে গাফলতী কিংবা ক্ষতি না হয়। যদি হয় তাহলে জায়েয হবে না।

হাদীসে আছে।

حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيَّ يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَا حَسَّانُ أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ

অর্থ, হযরত হাসসান বিন সাবেত আনসারী রাঃ হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ কে আল্লাহর কসম দিয়ে একথার সাক্ষ্য চেয়ে বলেনঃ আপনি কি রাসূল সাঃ কে একথা বলতে শুনেছেন, হে হাসসান! রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পক্ষ থেকে [কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের] জবাব দাও। হে আল্লাহ! হাসসানকে রূহুর কুদুস [জিবরাঈল] দ্বারা সাহায্য কর। আবূ হুরায়রা রাঃ বলেন, হ্যাঁ।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৪৫৩)

অন্য হাদীস আছে।

এক গ্রম্য ব্যক্তির কথা শুনে রাসূল সাঃ বলেন।

عن ابن عباس ، قال : جاءأعرابي إلى النبي صلى الله عليه وسلم ، فجعل يتكلم بكلام ، فقالرسول الله صلى الله عليه وسلم : (إن من البيان سحرا ، وإن من الشعرحكما

অর্থ, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। একজন অনারবী ব্যক্তি রাসূল সাঃ এর কাছে আসল। তারপর সে বিশেষ ভঙ্গিমায় কথা বলল। তখন রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় কথন পদ্ধতিতে যাদু রয়েছে। আর কবিতায় আছে হিকমাত তথা গভীর প্রজ্ঞা।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০১১)

Comments

Popular posts from this blog

হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু'র প্রকৃত হত্যাকারী কে....?

নামধারী আহলে হাদিস বিদাতী ফিরকার ইসলাম বিরোধী ৫০টি ভ্রান্ত মতবাদ