Posts

Showing posts from September, 2018

আল-আকসা মসজিদ সম্পর্কে ৮টি অজানা তথ্য

Image
১. মক্কার মসজিদে হারামের পরেই  পবিত্র কুরআনে যে মসজিদটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হল মসজিদে আকসা। এটিই সে স্থান, যেখান থেকে রাসূল  (সা.) মেরাজের রাতে উর্ধ্বাকাশে গমন করেছিলেন। কুরআনে কারীমের সূরা ইসরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, 'পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল' ২. তিনটি পবিত্রতম মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম। রাসূল (সা.) মসজিদে আকসা ভ্রমণের জন্য মুসলমানদের উৎসাহিত করেছেন। রাসূর (সা.) বলেছেন, 'তিনটি মসজিদ ছাড়া আর কোথাও জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করো না। মসজিদ তিনটি হলো মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী এবং মসজিদে আকসা।' (সহীহ বুখারী) ৩. মসজিদে আকসা পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ। পবিত্র কাবাঘর নির্মানের ৪০ বছর পর এটি নির্মিত হয়। হযরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে এ সম্পর্কে জানা যায়। তিনি একবার রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পৃথিবীর বুকে প্রথম মসজিদ

খারেজী সম্প্রদায়ের নীতি, বৈশিষ্ট্য ও লক্ষণসমূহ

Image
আহলে হাওয়া (খেয়াল-খুশীর অনুসারী দল), বিভিন্ন ফের্কা ও বিদআতীদের সম্পর্কে গবেষণাকারী বিশিষ্ট লেখক, প্রফেসার, ড. নাসের আল আক্বল বলেনঃ প্রথম যুগের খারেজীদের অবস্থা ভালভাবে অধ্যয়ন করলে দেখা যাবে, তাদের নীতি, বৈশিষ্ট্য ও সাধারণ লক্ষণসমূহ নিম্নরূপঃ  ১-পাপের (বড় পাপের) কারণে কাফের মনে করা এবং বড় পাপকারীকে (মুসলিমকে)  বিভিন্ন বিধানের ক্ষেত্রে কাফের হিসাবে জানা। ২-মুসলিম ইমামদের (শাসকদের) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশ্বাস ও আমল উভয়ের বসবর্তী হয়ে আর অনেক সময় একটির বসবর্তী হয়ে। ৩-মুসলিম জামাআতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। তাদের সাথে বসবাস না করা, সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা, পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা, তাদের রক্ত হালাল মনে করা এবং শারঈ হুকুম-আহকামে কাফেরদের মত মনে করা। ৪-সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধাজ্ঞার দলীল সমূহ শাষকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, তাদের বিরোধিতা করা এবং নিজের (খারেজীদের) বিরোধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অর্থে ব্যবহার করা। ৫-তাদের মধ্যে জাহেল ক্বারী ও অজ্ঞর সংখ্যা বেশী থাকবে।। তাদের অধিকাংশই যেমন নবী (সাঃ) বলেছেন (অল্প বয়সী ও কম জ্ঞানী হবে)। ৬-তাদের চেহারা-ছবিত

ওরা আহলে হাদীস না শিয়া? আসুন মোনাফেক চিনি

Image
শিয়ারা যেমন আহলে বাইতের ভালবাসার পর্দার আড়ালে আহলে সুন্নতীদের বিভ্রান্ত করাই মূল লক্ষ্য। ঠিক তেমনি আহলে হাদীস নামধারীরা হাদীসের উপর আমলের মোহাব্বতের নামে আহলে সুন্নতীদের বিভ্রান্ত করা উদ্দেশ্য। উভয়ের উদ্দেশ্য একই। শিয়ারা যেমন চায় আহলে বাইতের নামে আহলে সুন্নতের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়–ক। আহলে হাদীসরাও চায় আহলে হাদীসের নামে আহলে সুন্নতের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়–ক। শিয়ারা আহলে বাইত বলে আহলে সুন্নতীদের ধোঁকা দেয়। গায়রে মুকাল্লিদরা আহলে হাদীসের নামে আহলে সুন্নতকে ধোঁকা দেয়। যেমন খারেজীরা আহলে কুরআনের নামে হযরত আলী রাঃ কে ধোঁকা দিত। শিয়াদের সাথে আহলে হাদীস দাবিদারদের মিলসমূহ ইজমা কিয়াস অস্বিকার শিয়ারা যেমন ইজমা কিয়াসকে শরয়ী দলীল মানে না, ঠিক তেমনি আহলে হাদীস নামধারীরাও ইজমা ও কিয়াসকে শরয়ী দলীল বিশ্বাস করে না। শিয়ারা ইজমা-কিয়াস অস্বিকারকারী বলার দলীল- মানহাজুস সুন্নাহ-১/৮৯। আহলে হাদীস নামধারীরা ইজমা কিয়াস অস্বিকার করার দলীল আসা করি দেয়ার প্রয়োজন নেই। তাদের প্রায় সকল প্রকাশিত বইয়েই তা বিদ্যমান পাবেন। যেখানেই মাযহাবের বিরোধীতা করেছে, সেখানেই

হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু'র প্রকৃত হত্যাকারী কে....?

Image
প্রথমেই বলে নিতে চাই যে আমার এই কথা ইয়াজিদের পক্ষে উকালতি করার জন্য নয়; বরং মূল সত্যকে বিশ্বের সকল বাংলাভাষী মুসলিমের সামনে তুলে ধরার জন্যে। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (র.) বলেন: সকল মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকের ঐকমতে ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া হুসাইন (রাঃ) কে হত্যার আদেশ দেন নি। বরং তিনি উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে চিঠির মাধ্যমে আদেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন ইরাকের জমিনে হুসাইন (রাঃ) কে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে বাঁধা দেন। এতটুকুই ছিল তার ভূমিকা। বিশুদ্ধ মতে তার কাছে যখন হুসাইন (রাঃ) নিহত হওয়ার খবর পৌঁছল তখন তিনি আফসোস করেছেন। ইয়াজিদের বাড়িতে কান্নার ছাপ প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি হুসাইন (রাঃ) পরিবারের কোন মহিলাকে বন্দী বা দাসীতে পরিণত করেন নি; বরং পরিবারের সকল সদস্যকে সম্মান করেছেন। সসম্মানে হুসাইন (রাঃ) পরিবারের জীবিত সদস্যদেরকে মদিনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। যে সমস্ত রেওয়াতে বলা হয়েছে যে, ইয়াজিদ আহলে বাইতের মহিলাদেরকে অপদস্থ করেছেন এবং তাদেরকে বন্দী করে দামেস্কে নিয়ে বেইজ্জতি করেছেন, তার কোন ভিত্তি নেই। বনী উমাইয়াগণ বনী হাশেমকে খুব সম্মান করতেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ যখন ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ ব

হানাফী মাযহাবের হাদীস নির্ভরতা সবচেয়ে বেশী

Image
হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা যেহেতু ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি, সেহেতু তাঁর জ্ঞানের গভীরতা ও সঠিকতার উপরই মূলত হানাফী মাযহাবের সঠিকতা ও গভীরতার বিষয়টি নির্ভরশীল। কারণ, আহরিত জ্ঞানের শতভাগ ব্যবহারে তাঁর নিষ্ঠা ও আমানতদারী প্রশ্নাতীত। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। ইমাম আবু হানীফা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি খায়রুল কুরুনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তিন যুগকে উত্তম যুগ বলেছেন, সাহাবীদের যুগ, তাবেয়ীদের যুগ ও তাবে তাবেয়ীদের যুগ। এই হাদীস দ্বারা বুঝা যায় স্তরভিত্তিক এই তিন যুগের মানুষ জ্ঞানে-গুণে, তাকওয়া, বুযুর্গী এবং আমানতদারীতে নিঃসন্দেহে পরবর্তী যুগের মানুষের চেয়ে অগ্রগামী। যেহেতু ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলায়হি ছিলেন এই তিন যুগের দ্বিতীয় (তাবেয়ী) যুগের অন্তর্ভুক্ত, (যে সম্মান অন্য তিন ইমামের নেই) সেহেতু তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাযহাবও উত্তমতা ও সঠিকতার বিবেচনায় অন্যান্য মাযহাবের তুলনায় শ্রেষ্ঠ হবে, এটাই স্বাভাবিক। ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলায়হি এর জ্ঞান সম্পর্কে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যৎবাণী রাসূলে করীম সাল

জেরুসালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী আলআকসা আমাদের লালরেখা

Image
- হে গাঁজার বীর শহীদেরা, এ লেখা নিবেদন করছি তোমাদেরই ! - এক. সূচনাকথা ফিলিস্তিন কোনো সাধারণ নগরী নয়। ফিলিস্তিন একটি পুণ্যভূমি। নবী-রাসূলদের পরশধন্য— সূতিকাগার। সর্বযুগে সর্বকালে এখানে আল্লাহর প্রতি সর্বানুগত্য অলঙ্ঘিত ছিলো। এখানে আছে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আলআকসা। এখানে আছে আলআকসার শহর আলকুদস  (জেরুসালেম)। আলআকসার মহাবরকতে আলকুদসসহ সারা ফিলিস্তিন বরকতঘেরা। তার আশপাশও বরকতঘেরা। আকাশ থেকে এখানে নিরত বরকত ঝরে। বরকতে বরকতে সবকিছু সিক্ত হয়। ধন্য হয়। এখানে ছিলো নবুওতের নূরের তাজাল্লি। এখনো আছে ঘুমিয়ে থাকা সেই তাজাল্লির বরকত-ঝলক। এখানে সব সময় প্রবল থাকে হক। বাতিলের এখানে কোনো জায়গা নেই। বাতিল মাঝে মাঝে ঢুকে পড়ার অপচেষ্টা করে মাত্র। অনুপ্রবেশের কালো চাদরে নিজেকে ঢেকে রাখে দুরভিসন্ধিঘেরা স্বল্প মেয়াদি অবস্থানে। হঠাৎ হঠাৎ দল ভারী করে। চিৎকার জুড়ে দেয়। হইচই বাধিয়ে দেয়। এ সবই স্বল্পস্থায়ী। সকালের ‘ঝিলমিল’ কুয়াশা। কিংবা একটু ধোঁয়াশা। সূর্য উঠলে নেই হয়ে যায়। চিহ্নহীন হয়ে যায়। এ সূর্য সত্যের সূর্য—পুণ্যভূমি ফিলিস্তিনের স্থায়ী উত্তরাধিকার। এখানে কেউ আঘাত করতে পারে না। আঘাত করলে রক্ত-প্রতিরো

'মিশকাত শরীফ’ পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা...

Image
মিশকাত শরীফ। পৃথিবী খ্যাত হাদীস  সংকলনগুলোর একটি। কিতাবটি মূলত ইমাম আবু মুহাম্মদ আল-হোছাইন ইবনে মাসউদ আল-বাগাভী (মৃত্যু: ৫১৬ হিজরী) লিখিত ‘মাসাবীহুস সুন্নাহ্’ কিতাবের সংযোজিত সংকলন। যা ইমাম ওলি উদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-খতীব আত-তিবরিজী (মৃত্যু: ৭৪১ হিজরী) রহ. রচনা করেন। ইমাম বাগাভী (রহ.) তাঁর কিতাবটি প্রসিদ্ধ হাদীস সংকলন, যথা- বুখারী, মুসলিম, সুনানে  আবু দাউদ, জামে তিরমিজি ইত্যাদি গ্রন্থ থেকে সংকলন করেন। কিতাবটি লেখার ক্ষেত্রে ইমাম একটি বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এ বিষয়ে তিনি ভূমিকায় লিখেন- "وتجد أحاديث كل باب منها تنقسم إلى صِحاح وحِسان، أعني بـالصّحاح ما أخرجه الشيخان: أبو عبد اللَّه محمد بن إسمعيل الجعفي البخاري، وأبو الحسين مسلم بن الحجاج القشيري النيسابوري رحمهما اللَّه، في جامعهما، أو أحدهما. وأعني بـالحِسان ما أورده أبو داود سليمان بن الأشعث السجستاني وأبو عيسى محمد بن عيسى بن سورة الترمذي وغيرهما" يُنظر: مصابيح السنة، ج1، ص110. “(পাঠক!) আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন, কিতাবটির প্রত্যেক অধ্যায়ের হাদীসগুলো ‘সহীহ ও হাসান’ দু’ভাগে বিভক্ত। ‘সহীহ’ বলতে আমি সে