আল-আকসা মসজিদ সম্পর্কে ৮টি অজানা তথ্য







১. মক্কার মসজিদে হারামের পরেই  পবিত্র কুরআনে যে মসজিদটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি হল মসজিদে আকসা। এটিই সে স্থান, যেখান থেকে রাসূল  (সা.) মেরাজের রাতে উর্ধ্বাকাশে গমন করেছিলেন। কুরআনে কারীমের সূরা ইসরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, 'পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল'

২. তিনটি পবিত্রতম মসজিদের মধ্যে এটি অন্যতম।
রাসূল (সা.) মসজিদে আকসা ভ্রমণের জন্য মুসলমানদের উৎসাহিত করেছেন। রাসূর (সা.) বলেছেন, 'তিনটি মসজিদ ছাড়া আর কোথাও জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করো না। মসজিদ তিনটি হলো মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী এবং মসজিদে আকসা।' (সহীহ বুখারী)

৩. মসজিদে আকসা পৃথিবীতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ। পবিত্র কাবাঘর নির্মানের ৪০ বছর পর এটি নির্মিত হয়। হযরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস থেকে এ সম্পর্কে জানা যায়। তিনি একবার রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পৃথিবীর বুকে প্রথম মসজিদ কোনটি? রাসূল (সা.) উত্তরে মসজিদে হারামের কথা উল্লেখ করেন। এরপর তিনি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এরপর নির্মিত মসজিদ কোনটি। রাসূল (সা.) উত্তরে আল-আকসার কথা বলেন। মসজিদ দুইটির নির্মাণের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবদান জানতে চাইলে রাসূল (সা.) জবাবে বলেন, এদের মধ্যে ব্যবদান ৪০ বছরের।

৪. পবিত্র কাবার দিকে নামাজের কেবলা নির্ধারণ হওয়ার পূর্বে নামাজের জন্য মুসলমানদের কেবলা হিসেবে মসজিদে আকসা নির্ধারিত ছিলো।

৫. মেরাজের রাতে রাসূল (সা.) সকল নবী-রাসূলকে নিয়ে আল-আকসা মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছিলেন। রাসূল (সা.)-এর ইমামতিতে এই নামাজ আদায় করা হয়।

৬. এই মসজিদের এক রাকাত নামজ পঞ্চাশ হাজার রাকাতের সমান। রাসূল (সা.) এর এক হাদিসে বলা হয়েছে- 'একজন ব্যক্তি তার নিজ ঘরে আদায় করা নামাজের পুরস্কার ঐ নামাজের সমান, নিকটস্থ মসজিদে নামাজের পুরস্কার ২৫ গুণ, জুমা মসদিের নামাজ ৫০ গুণ, আল-আকসা মসজিদে ৫০ হাজার গুণ, মসজিদে নববীতে ৫০ হাজার গুণ এবং মসজিদ আল- হারামে ১ লহ্ম গুণ  পুরস্কার রয়েছে।'

৭. ৬৩৭ ইসায়ীতে হযরত ওমর (রা.) জেরুজালেম জয় করার পর রোমানদের ধ্বংস্তুপ থেকে মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেন।

৮. ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টানদের ক্রুসেডারদের হাতথেকে পুনরায় মসজিদটি সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী মসজিদটি উদ্ধার করেন এবং ক্রসেডারদের আবর্জনা তিনি এই মসজিদ আবাদ করেন। (সংগৃহীত)

ইয়া রব!
দখলদার ইহুদীবাদি ইসরাঈলের কুচক্রান্ত থেকে জেরুজালেমের আল-আকসাকে আপনি হেফাজত করুন, #আমিন।

Comments

Popular posts from this blog

হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু'র প্রকৃত হত্যাকারী কে....?

ইসলামী গজল গাওয়া বা শোনা কি জায়েজ?

নামধারী আহলে হাদিস বিদাতী ফিরকার ইসলাম বিরোধী ৫০টি ভ্রান্ত মতবাদ