সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে??

চন্দ্র গ্রহন ও সূর্য গ্রহেনর সময় বিধি নিষেধ নিয়ে সমাজে নানা ধারনা প্রচলিত আছে। এসময় গর্ববতী মহিলাদের বাইরে না বেরুনো, গ্রহনের আগের রান্না করা খাবার গ্রহন চলাকালীন সময় না খাওয়া, না শোয়া বা ঘুমানোসহ অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। আদতে আধুনিক বিজ্ঞান বলে এসব ধারনার কোন ভিত্তি নেই। এটি প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের স্বাভাবিক ঘটনা। জোয়ার-ভাঁটার পরিবর্তন ছাড়া এর অন্য কোন প্রভাব নেই।

সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে??

অধিকাংশ সময়েই আমাদের দেশের মানুষেরা অত্যন্ত আনন্দ আর কৌতুহল নিয়ে সূর্যগ্রহন এবং চন্দ্রগ্রহন প্রত্যক্ষ করে থাকে। সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহনের সময় হয় তখন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেত। তখন তিনি সাহাবীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।
আরবীতে সূর্যগ্রহণকে 'কুসূফ' বলা হয়। আর সূর্যগ্রহণের নামাজকে 'নামাজে কুসূফ' বলা হয়। দশম হিজরীতে যখন পবিত্র মদীনায় সূর্যগ্রহণ হয়, ঘোষণা দিয়ে লোকদেরকে নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাদিক দীর্ঘ নামাজের জামাতের ইমামতি করেছিলেনন। সেই নামাজের কিয়াম, রুকু, সিজদাহ মোটকথা, প্রত্যেকটি রুকন সাধারণ অভ্যাসের চেয়ে অনেক দীর্ঘ ছিল।

বিভিন্ন আলেমরাও তাই, এ সময় বেশি বেশি করে নফল নামাজ পড়া, কোরআন তেলাওয়াত করা, দান সদকা করা এবং মিসকিনকে খাওয়ানোতে উৎসাহিত করেছেন।

Comments

Popular posts from this blog

হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু'র প্রকৃত হত্যাকারী কে....?

ইসলামী গজল গাওয়া বা শোনা কি জায়েজ?

নামধারী আহলে হাদিস বিদাতী ফিরকার ইসলাম বিরোধী ৫০টি ভ্রান্ত মতবাদ