ইতিহাস কথা বলে এক অনজানি কাহানী : কুতুবউদ্দিন আইবক
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
কুতুবউদ্দিন আইবকের একটি কাহিনী পড়েছিলাম সেটাই আপনাদের শোনাচ্ছি। ইনিই সেই বাদশা যিনি 'কুতুব মিনার' নির্মাণ করেছিলেন। তিনি শিকারে বেরিয়ে ছিলেন। দূর থেকে জঙ্গলের মধ্যে কিছু দেখে শিকার সন্দেহ করে তীর চালালেন। শিকার লুটিয়ে পড়লো। বাদশাহ শিকারের কাছে যখন পৌঁছালেন তখন চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল। কেননা সেটা কোনোও জানোয়ার ছিল না। বাদশাহ দেখলেন তার তীরের আঘাতে আহত হয়ে এক কিশোর পড়ে রয়েছে।
কিছুক্ষণ পরে সেই আহত কিশোর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বাদশাহ খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলেন সেই কিশোর পাশ্ববর্তী গ্রামের বৃদ্ধার একমাত্র সন্তান। কিশোরটি সারাদিন জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করে আনত, আর সেই কাঠগুলি বিক্রি করে মা-ছেলের সংসার চলতো, পেট ভরতো।
বাদশাহ কুতুবউদ্দিন নিজেই সেই বৃদ্ধার কাছে গেলেন এবং বললেন- আমার অজান্তেই আপনার ছেলেকে তীর বিদ্ধ করে আমি হত্যা করে ফেলেছি। কিশোরটির বৃদ্ধা মা কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা চলে গেলেন। তারপর বাদশাহ কুতুবউদ্দিন নিজেই কাজীর কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন, এবং তার বিরুদ্ধে মোকদ্দমা চালানোর জন্য কাজীকে বললেন। কাজী মোকদ্দমা শুরু করলেন। মৃত কিশোরের বৃদ্ধা মা কে কাজী ডেকে পাঠালেন। কাজী বিচারে বসে ঐ বৃদ্ধাকে বললেন- আপনি যে সাজা চাইবেন আমি সেই সাজা এই অপরাধীকে শোনাবো। বৃদ্ধা বিচার সভায় বললেন - এমন বাদশাহ আমি কোথায় পাবো? যে বাদশাহ নিজের রাজত্বে, নিজের শাসনে, নিজের রাজ্যেই নিজের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা চালানোর অনুমতি দিবেন! আর আমি সেই বাদশাহকে কি শাস্তির বিধান শোনাবো? আবার সেই অপরাধের জন্য যে অপরাধ উনি অজ্ঞাত কারণে করেছেন, জেনে বুঝে করেননি।
বৃদ্ধা বললেন- আজ থেকে কুতুবউদ্দিনই আমার ছেলে, আমি ওকে ক্ষমা করে দিলাম। কাজী বাদশাহ কুতুবউদ্দিন কে রেহাই দিয়ে দিলেন এবং বললেন- যদি আপনি এই বিচার সভায় দাঁড়িয়ে আপনার বাদশাহীর গর্ব, অহঙ্কার বিন্দুমাত্র ও দেখাতেন তবে আমি বৃদ্ধার কথা না শুনে নিজেই সাজা শুনাতাম।
বাদশাহ কুতুবউদ্দিন কাজীর কথা শুনে কোমর থেকে খঞ্জর (ছুরি) বের করে কাজীকে দেখিয়ে বললেন- 'যদি তুমি আমাকে অপরাধী মনে না করে একবিন্দুও বাদশাহ ভাবতে তবে আমি এই ছুরি দিয়ে তোমাকে মৃত্যুর দোরে পৌঁছে দিতাম।'
এই হলেন আসল বাদশাহ, এই হলো আসল বাদশাহী। আর এটাই হলো ইসলাম, এবং ইসলামের শিক্ষা।
আমার ভাই-বোন শুনে রাখুন, ইসলাম শুধুমাত্র ভ্রাতৃত্ববোধ, ভালোবাসা, ন্যায় বিচারের শিক্ষাই দেয়।
কুতুবউদ্দিন আইবকের একটি কাহিনী পড়েছিলাম সেটাই আপনাদের শোনাচ্ছি। ইনিই সেই বাদশা যিনি 'কুতুব মিনার' নির্মাণ করেছিলেন। তিনি শিকারে বেরিয়ে ছিলেন। দূর থেকে জঙ্গলের মধ্যে কিছু দেখে শিকার সন্দেহ করে তীর চালালেন। শিকার লুটিয়ে পড়লো। বাদশাহ শিকারের কাছে যখন পৌঁছালেন তখন চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল। কেননা সেটা কোনোও জানোয়ার ছিল না। বাদশাহ দেখলেন তার তীরের আঘাতে আহত হয়ে এক কিশোর পড়ে রয়েছে।
কিছুক্ষণ পরে সেই আহত কিশোর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বাদশাহ খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলেন সেই কিশোর পাশ্ববর্তী গ্রামের বৃদ্ধার একমাত্র সন্তান। কিশোরটি সারাদিন জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করে আনত, আর সেই কাঠগুলি বিক্রি করে মা-ছেলের সংসার চলতো, পেট ভরতো।
বাদশাহ কুতুবউদ্দিন নিজেই সেই বৃদ্ধার কাছে গেলেন এবং বললেন- আমার অজান্তেই আপনার ছেলেকে তীর বিদ্ধ করে আমি হত্যা করে ফেলেছি। কিশোরটির বৃদ্ধা মা কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা চলে গেলেন। তারপর বাদশাহ কুতুবউদ্দিন নিজেই কাজীর কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন, এবং তার বিরুদ্ধে মোকদ্দমা চালানোর জন্য কাজীকে বললেন। কাজী মোকদ্দমা শুরু করলেন। মৃত কিশোরের বৃদ্ধা মা কে কাজী ডেকে পাঠালেন। কাজী বিচারে বসে ঐ বৃদ্ধাকে বললেন- আপনি যে সাজা চাইবেন আমি সেই সাজা এই অপরাধীকে শোনাবো। বৃদ্ধা বিচার সভায় বললেন - এমন বাদশাহ আমি কোথায় পাবো? যে বাদশাহ নিজের রাজত্বে, নিজের শাসনে, নিজের রাজ্যেই নিজের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা চালানোর অনুমতি দিবেন! আর আমি সেই বাদশাহকে কি শাস্তির বিধান শোনাবো? আবার সেই অপরাধের জন্য যে অপরাধ উনি অজ্ঞাত কারণে করেছেন, জেনে বুঝে করেননি।
বৃদ্ধা বললেন- আজ থেকে কুতুবউদ্দিনই আমার ছেলে, আমি ওকে ক্ষমা করে দিলাম। কাজী বাদশাহ কুতুবউদ্দিন কে রেহাই দিয়ে দিলেন এবং বললেন- যদি আপনি এই বিচার সভায় দাঁড়িয়ে আপনার বাদশাহীর গর্ব, অহঙ্কার বিন্দুমাত্র ও দেখাতেন তবে আমি বৃদ্ধার কথা না শুনে নিজেই সাজা শুনাতাম।
বাদশাহ কুতুবউদ্দিন কাজীর কথা শুনে কোমর থেকে খঞ্জর (ছুরি) বের করে কাজীকে দেখিয়ে বললেন- 'যদি তুমি আমাকে অপরাধী মনে না করে একবিন্দুও বাদশাহ ভাবতে তবে আমি এই ছুরি দিয়ে তোমাকে মৃত্যুর দোরে পৌঁছে দিতাম।'
এই হলেন আসল বাদশাহ, এই হলো আসল বাদশাহী। আর এটাই হলো ইসলাম, এবং ইসলামের শিক্ষা।
আমার ভাই-বোন শুনে রাখুন, ইসলাম শুধুমাত্র ভ্রাতৃত্ববোধ, ভালোবাসা, ন্যায় বিচারের শিক্ষাই দেয়।
Comments
Post a Comment