কথিত আহলে হাদীসদের আহলে তাক্বলীদ হওয়ার প্রমাণ পর্ব-৩






 রেফারেন্সসহ নীচে তুলে ধরা হলো।

মুহাদ্দিসীনদের তাকলীদ


গায়রে মুকাল্লিদদের প্রথম সারির আলেম মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন বাটালবী সাহেব লিখেছেনঃ

“গায়রে মুজতাহিদীন মুতলাকের জন্য মুজতাহিদীনদের তাকলীদ থেকে বের হয়ে আসা এবং তাদের অস্বীকার করার কোন জো নেই। তাদের কোথাও না কোথাও মুজতাহিদীন এবং মুহাদ্দিসীনদের আবশ্যকীয়ভাবে তাকলীদ করতে হয়। কিছু শাখাগত মাসআলার বিষয়ে হোক বা উসূল বা কায়দা-কানুনের ক্ষেত্রে হোক। চাই তা হাদীসের সহীহ বা জঈফ বলার ক্ষেত্রে হোক। {ইশাআতুস সুন্নাহ-১১/৩১২}

বাটালাবী সাহেবের বক্তব্য একথা সুষ্পষ্ট প্রমাণিত করছে যে, যে ব্যক্তি মুজতাহিদে মুতলাক নয়, তার কোন না কোন স্থানে তাকলীদ করতেই হয়। চাই তা মাসআলা মাসায়েলের ক্ষেত্রে হোক, বা হাদীস সহীহ-জঈফ বলার ক্ষেত্রেই হোক না কেন।

সুতরাং গায়রে মুকাল্লিদ তথা কথিত আহলে হাদীসরা যে হাদীসকে সহীহ বা জঈফ বলছেন এটাতো মুহাদ্দিসীনদের মতের উপর তাকলীদ করেই।

হ্যাঁ, যেহেতু তাদের কাছে তাকলীদ শব্দের মাঝে চুলকানি রয়েছে, তাই তারা তাকলীদ শব্দ ব্যবহার না করে, এখানে তারা ইত্তেবাহ শব্দ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু কাজ কিন্তু একই। তাকলীদের মাঝে যেমন একজন সাধারণ মুকাল্লিদ সাধারণত দলীল জিজ্ঞেস করে না। তেমনি মুহাদ্দিসীনগণেরমন্তব্য মানার ক্ষেত্রেও অধিকাংশ সময় দলীল জানা যায় না। তাই মুহাদ্দিসীনদের কথা মেনে হাদীসকে সহীহ-জঈফ বলাওতো তাকলীদ।


(To be continued)

Comments

Popular posts from this blog

নামধারী আহলে হাদিস বিদাতী ফিরকার ইসলাম বিরোধী ৫০টি ভ্রান্ত মতবাদ

হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু'র প্রকৃত হত্যাকারী কে....?

ইসলামী গজল গাওয়া বা শোনা কি জায়েজ?