খাইরুত তাবেয়ীন হযরত উয়াইস কারনী (রহঃ) এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
খাইরুত তাবেয়ীন হযরত উয়াইস কারনী রহ.।
সাহাবায়ে কেরামকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তার কাছ থেকে দুয়া চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাসূল স.। তার শাফায়াতে রবীয়া ও মুজার গোত্রের মতো অধিক সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে ।
[তারিখুল ইসলাম, ইমাম যাহাবী রহ. , খ.২, পৃ.৫৫৮, আল-ইসাবা, ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বর্ণনা নং ৫০০]
ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন যে, তিনি কোন এক যুদ্ধে ইন্তেকাল করেছেন। তবে কোন যুদ্ধ এবং কোন জায়গায় ইন্তেকাল করেছেন এ বিষয়ে মতানৈক্য করেছেন।
ইমাম ইবনে আসাকির রহ. বলেন,
"আমেনিয়ার সাগার নামক অঞ্চলে যুদ্ধের উদ্দেশ্য উয়াইস কারনী রহ. সফর করেন। হঠাৎ তিনি পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন। পীড়ার কারণে একটি তাবুতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।"
[তাহজীবু তারিখে দিমাশক, খ.৩, পৃ.১৭৭]
আব্দুল্লাহ ইবনে সালিম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
"আমরা হযরত উমর রা. এর খেলাফতকালে আজারবাইজানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আমাদের সাথে উয়াইস কারনী ছিলেন। আমরা যখন যুদ্ধ থেকে ফিরছিলাম, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তিনি আরোগ্য লাভ করলেন না। ফলে সেখানেই ইন্তেকাল করলেন।
আমরা সেখানে উপস্থিত হলাম। কাফন প্রস্তুত ছিলো। কবর খোড়া হয়ে গিয়েছিল। গোসলের পানিও প্রস্তুত ছিলো। আমরা তাকে গোসল দিলাম। কাফন পরিয়ে জানাজা সম্পন্ন করলাম। এরপর দাফন করলাম। আমাদের কিছু সাথী পরবর্তীতে বলল, চলো তার কবর চিনে রাখি। সেখানে গিয়ে দেখি, সেখানে কোন কবর নেই। কবরের চিহ্নও নেই।"
[সিফাতুস সাফওয়া, ইবনুল জাওযী রহ. খ.৩, পৃ.৫৬, হিলয়াতুল আউলিয়া, খ.২, পৃ.৮৩]
কোন কোন ঐতিহাসিক বলেছেন, তিনি সিফফীন অথবা নাহাওয়ান্দের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
Comments
Post a Comment