আহলে বিদাতী মোনাফেক সম্প্রদায় কথিত আহলে হাদিস মুসলিম উম্মাহকে নাস্তিক বানাতে চায়







------------------------------------------------
লা- মাযহাবীদের প্রতি দাঁত ভাঙ্গা জবাব।
কথিত আহলে হাদীসেরা কোরআন ও সহীহ হাদীস ছাড়া
কোনো লোকের কথা দলীল হতে পারেনা বলে যে দাবী
করেছে এর অভ্যন্তরে বলতে চাচ্ছে নাস্তিক্যবাদী কথা

কারণ কোনো লোকের কথা দলীল হতে পারবে না এর
আসল উদ্দেশ্য হল কোরআন হাদীসই দলীল হতে পারবে না

কারণ কোরআন হাদীস এসেছে পীর মাশায়েখ মুহাদ্দিস ও
ফকীহদের মাধ্যমে ৷ যদি তাদের কথা দলীল না হয় তবে
কোরান হাদীস কীভাবে দলীল হবে?
তাদের কথা বিশ্বাস করেছি বলেই আমরা কোরআন
হাদীস মানছি ৷ অন্য ধর্মীয়রা মুসলিম গুরুদের বিশ্বাস
করে না বলেই তারা কোরআন হাদীস মানে না ৷
কথিত আহলে হাদীসরা এই বিশ্বাসের উপর আঘাত হেনে
অবড়ালে স্বয়ং কোরআন হাদীসের উপরই আঘাত হানছে ৷
তাই বলা হয় কথিত আহলে হাদীসের শেষ পরিনতি
নাস্তিকতা ৷
আপনি দেখবেন বিধর্মীদের প্রশ্ন হলো মুসলমানরা বলে
অন্য আসমানী ধর্মীয়গ্রন্থগুলো বিকৃত হয়েগেছে ৷
কারণ তাদের নবী রাসুলদের সাহাবী এবং পরের গুরুরা
সেইরূপ বিশ্বস্ত ছিল না ৷ যার কারণে পরে এসে হুবহু ধর্ম
তারা পায়নি ৷
মুসলমানদের বেলায় তারা বলে তাহলে আপনারা কি
ভাবে বলবেন আপনাদের ধর্ম অবিকৃত ৷
তখন মুসলমানদের জবাব হল আল্লাহ তাআলা নিজেই তা
সংরক্ষিত রাখার কথা ঘোষণা দিয়েছেন ৷
এর জবাবে তাদের কথা হল আল্লাহ তাআলা ঘোষনা
দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু তা তো প্রত্যেক যুগে নতুন করে
নাযিল করেন নি ৷ বরং যুগ যুগ ধরে মানুষের পরাম্পরায় তা
পরবর্তীদের কাছে পৌছেছে ৷
তা হলে কিভাবে বলবেন সংরক্ষিত ৷ তখন মুসলমানদের
একমাত্র উত্তর হলো যুগে যুগে যাদের মাধ্যমে আমরা
কোরআন হাদীস এবং ইসলামের যাবতীয় বিধান পেয়েছি
তারা প্রত্যেকে আল্লাহর মনোনীত এবং যুগসেরা
বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছিলেন ৷
কোনো ধর্মের লোক তাদের ব্যপারে কলংক লেপন করতে
পারেনি ৷ তাদের কথা মানা যায় বিধায় তারা যেটিকে
কোরআন বলেছেন দেড় হাজার বছর পরও আমরা সেটাকে
কোরআন হিসেবে মানছি ৷
তারা যেটাকে হাদীস বলেছে আমরাও হাদীস বলছি ৷
তারা কোরান হাদীসের যে ব্যখ্যা করেছেন সেটাই
আমরা মানছি ৷
কিন্তু বিধর্মীরা সেটাতে বিশ্বস্ত হতে পারছে না তাই
তারা কোরআন হাদীসের উপরও বিশ্বাস গ্রহণ করতে
পারছে না ৷
দেড় হাজার বছর পরে এসে বিধর্মীদের মতই কথিত আহলে
হাদীসরা বলছে কোনো ফকীহ মুহাদ্দিস মুজতাহিদ পীর
আলেম উলমার কথা দলীল হতে পারে না ৷
অর্থাৎ তারা বিশ্বাস যোগ্য নয় ৷ যে সাক্ষী তারা
দিচ্ছেন তা মানা যাবে না ৷ তাহলে আপনি যদি মুসলমান
হন তাহলে চিন্তা করুন তো বিধর্মী নাস্তিক আর কথিত
আহলে হাদীসদের দাবীর মধ্যে পার্থক্য কি?
শুধু এই কথা মনে রাখতে হবে কোরআন হাদীস আমরা
সরাসরি রাসুল সা· থেকে পাইনি৷ যাদের পরাম্পরায়
পেয়েছি তারা সকলে মান্যবর ও মাননীয় বলেই তাদের
বলা ও লিখিত কোরআন হাদীসকে আমরা কোরআন হাদীস
হিসেবেই মানি৷ এই ধারাবাহিকতায় যদি আমি বলি
ইমামদের কথা দলীল নয় ৷
তাহলে ইমামদের মাধ্যমে যা হাদীস কোরআন এসেছে
সবই আমি মিথ্যা সাব্যস্ত করলাম ৷ যদি বলি কোনো
মুহাদ্দিসের কথা দলীল বা বিশ্বাসযোগ্য নয় তাহলে
তাদের বর্ণিত যাবতীয় হাদীসের উপরই আঘাত হানলাম ৷
ইমামদের কথা যদি দলীল না হয় তবে ফেকার সমস্ত
বিধানাবলী আমি অমান্য করলাম ৷ যদি মুহাদ্দিসদের
কথা দলীল না হয় তাহলে হাদীসের সমস্ত উসুল আমি
অস্বীকার করলাম ৷
তখন আমি কোনো হাদীসকে সহীহ জয়ীফ বলতে পারব না
৷ কোনো বিষয়ে এটি জায়েয এটি না জায়েয এটি সুন্নাত
ইত্যাদি কিছুই বলতে পারব না৷ সহীহ হাদীস জয়িফ হাদীস
এসব মুহাদ্দিসদের বানানো পরিভাষা ৷
জায়েয না জায়েয সুন্নাত ওয়াজিব নফল মুস্তাহাব
এগুলো ইমাম মুজতাহিদদের বানানো পরিভাষা ৷ আল্লাহ
তাআলার বড় হিকমাত যারা ইমাম ও মুজতাহিদ ছিলেন
তারাই সবচেয়ে বড় মুহাদ্দিস ছিলেন ৷
অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ সবই তাদের শাগরেদ ছিলেন৷ তাই
মুহাদ্দিসগণকেও ইমাম মুজতাহিদদের কথা মেনে চলতে
হয়েছে ৷
হাদীসের উসুলগুলোও মুজতাহিদ ফকীহ ইমামগণ
বানিয়েছেন ৷ মুহাদ্দিসগণ তাদের যুগের বিবেচনায়
সেখানে সংযোজন বিয়োজন করেছেন মাত্র ৷
মুহাদ্দিসগণ সংযোজন বিয়োজন করার সময় এমন ধারাও
লেখতে বাধ্য হয়েছেন যে যেই হাদীসটি কোনো
মুজতাহিদ ইমাম গ্রহণ করেছেন সেই হাদীসের সনদে যতই
জয়িফ রাবী থাকুক তা হসানের স্তরে ৷ কারণ নিশ্চয়ই ওই
মুজতাহিদ সহীহ সনদে তা পেয়েছেন ৷
না হয় তা তিনি গ্রহণ করতেন না ৷ ফকীহ ইমামদের প্রতি
মুহাদ্দিসদের এমন দৃঢ় বিশ্বাস ৷ এমন আস্থা ৷ তারা
কোনো হাদীস গ্রহণ করলে তাদের গ্রহণ করাটাকেই
হাদীসটি হাদীস হওয়ার দলীল হিসেবে মেনে নিচ্ছেন
মুহাদ্দিসগণ ৷
এত কিছুর পর যদি বর্তমান কথিত আহলে হাদীসরা বলে
কোনো লোকের কথা দলীল নয় একমাত্র কোরআন ও সহীহ
হাদীসই দলীল তা মুসলিম উম্মাহকে নাস্তিক বানানোর
ষড়যন্ত্র কি না একটু যাচাই করে দেখা প্রয়োজন কি না!   

আহলে নাস্তিকদের থেকে আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুন

Comments

Popular posts from this blog

নামধারী আহলে হাদিস বিদাতী ফিরকার ইসলাম বিরোধী ৫০টি ভ্রান্ত মতবাদ

হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু'র প্রকৃত হত্যাকারী কে....?

ইসলামী গজল গাওয়া বা শোনা কি জায়েজ?