জান্নাতের দরজা দিয়ে সর্বপ্রথম কে প্রবেশ করবে?
আসুন, এ সম্পর্কে জেনে নিই চমৎকার দুটি হাদীস।
আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
أَنَا أَكْثَرُ الْأَنْبِيَاءِ تَبَعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يَقْرَعُ بَابَ الْجَنَّةِ
কিয়ামাতের দিন নাবীদের মধ্যে আমার অনুসারীই (উম্মত) সবচেয়ে বেশি হবে। আর আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যে জান্নাতের দরজায় টোকা দিবে।
[মুসলিমঃ ১৯৬]
আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলছেন,
آتِي بَابَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَسْتفْتِحُ، فَيَقُولُ الْخَازِنُ: مَنْ أَنْتَ؟ فَأَقُولُ: مُحَمَّدٌ، فَيَقُولُ: بِكَ أُمِرْتُ لَا أَفْتَحُ لِأَحَدٍ قَبْلَكَ
কিয়ামাতের দিন আমি জান্নাতের দরজার সামনে এসে তা খুলতে বলব। পাহাড়াদার বলবে, কে তুমি?
আমি বলব, মুহাম্মাদ!
এরপর সে বলবে, আমাকে আদেশ করা হয়েছে যে, আপনার আগে কারো জন্য যেন না খুলি।
[মুসলিমঃ ১৯৭]
সুবহানাল্লাহ, এ দুটি হাদীসেও আছে আমাদের জন্য আদব শিক্ষার বিষয় রয়েছে। জান্নাত হচ্ছে প্রত্যেক জান্না্তীর নিজস্ব রাজ্য, নিজের ঠিকানা সেখানে ঢুকতে গিয়েও দরজা টোকা দেয়া হচ্ছে, দরজা খুলতে বলা হচ্ছে!
ব্যক্তি কে?
সর্বশ্রেষ মানব ও সর্বশ্রেষ্ট নাবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আমরা তো অন্যের বাড়িতেও অনুমতি ছাড়াই ঢুকে পড়ি!
জান্নাত পরকালীন জীবন। সেখানেও যখন বলা হচ্ছে, কে তুমি? তখন মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেন না, আরে খুলো অথবা বলছেন না, আমি বা আমিই তো। তিনি নিজের নাম বলছেন।
অন্য হাদীসেও আমরা দেখি,
জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন,
أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَيْنٍ كَانَ عَلَى أَبِي، فَدَقَقْتُ البَابَ، فَقَالَ: «مَنْ ذَا» فَقُلْتُ: أَنَا، فَقَالَ: «أَنَا أَنَا» كَأَنَّهُ كَرِهَهَا
আমি নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলাম। আমার বাবার উপরে কিছু ঋণ ছিল (সে ব্যাপারে আলোচনা করতে আসলাম।) এসে দরজায় করাঘাত করলে তিনি বললেন, কে? অতঃপর আমি বললাম, আমি! তাই তিনি বললেন, আমি আমি! যেন তিনি তা অপছন্দ করলেন।
[বুখারীঃ ৬২৫০]
Comments
Post a Comment