কেয়ামত আসার হাল হাকিকত এবং এর লক্ষণ সমূহ
একদিন সমস্ত দুনিয়া মানুষ জীবজন্তু জ্বিন ফিরিশতা আসমান জমিন এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে সব বিলীন হয়ে যাবে। আল্লাহ ব্যতীত কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। একেই কেয়ামত় বলা হয়। কেয়ামত আসার আগে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে। এরম এর মধ্য থেকে কয়েকটি এখানে লিপিবদ্ধ করা হলো
এক নাম্বার ভূমি ধ্বংস অর্থাৎ তিন জায়গায় মানুষ জমিনে ধ্বসে যাবে। a3 জায়গা হবে পূর্ব পশ্চিম ও আরবে।
দ্বিতীয় দ্বীনি এলেম উঠে যাবে অর্থাৎ উলামায়ে দিনকে উঠিয়ে নেওয়া হবে তৃতীয় আলামত বৃদ্ধি পাবে চতুর্থ আলামত মদ্যপান জিনা বৃদ্ধি পাবে গরু গাধারা প্রজননের মত মানুষের মধ্যে বেহায়াপনা বৃদ্ধি পাবে পঞ্চম আলামত পুরুষের সংখ্যা কম এবং নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে শেষ পর্যন্ত একজন পুরুষের বাগে 50 জন মহিলা পড়বে ছোট আলামত ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে সপ্তম আলামত আরবে ক্ষেত খামার বাগান এবং নদীর উৎপত্তি হবে ফুরাত নদী seo গুপ্ত ভান্ডার খুলে দিবে এবং তা সোনার পাহাড়ে পরিণত হবে অষ্টম আলামত পুরুষ নিজের স্ত্রীর কথামতো চলবে মা-বাপের কথা শুনবে না বন্ধুবান্ধব নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকবে এবং মা-বাপকে অবজ্ঞা করবে নবম আলামত গান বাজনা বৃদ্ধি পাবে দশম আলামত লোক পূর্বপুরুষদের প্রতি লানত দিবে এবং ওদেরকে মন্দ বলবে।(১১) ভদকার ও অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে সরদার বানানো হবে ঘৃণিত Lok যাদের ভাগ্যে পরনের কাপড় পর্যন্ত যুদ্ধ জুটত না তারা বড় বড় প্রাসাদেই বিচরণ করবে মসজিদে লোকেরা চেঁচামেচি করবে হাতের মুঠোর অগ্নিকণা নেয়ার মত ইসলামের উপর অটল থাকাটা খুবই কঠিন হবে এমনকি মানুষ কবরস্থানে গিয়ে আরজু করবে আহা আমি যদি এ কবরে হতাম সময়ের মধ্যে কোন বরকত থাকবে না বছর মাসের মত সপ্তাহের মত সপ্তাহ দিনের মতো এবং দিন এমন হবে যেমন কোন কিছুতে আগুন লাগল এবং সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে গেল অর্থাৎ সময় খুব তাড়াতাড়ি অতিবাহিত হবে হিংস্র জন্তু মানুষের সাথে কথা বলবে চাবুকের অগ্রভাগ জুতার ফিতা কথা বলবে ঘরে যা কিছু হয়েছে বলে দিবে এমনকি মানুষের রান ওকে খবর দিবে সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হবে কেন কোনটা প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে ও সময় ইসলাম গৃহীত হবে না বড় দাজ্জালের আবির্ভাব ছাড়াও আরো 30 জন দাজ্জাল প্রকাশ পাবে যারা সবাই নবী হওয়ার দাবি করবে অথচ নবীর আগমন শেষ হয়ে গেছে আমাদের প্রিয় নবী রাহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরপরে কোন নবী আসবে না ওসব দাজ্জালের মধ্যে অনেক অতিবাহিত হয়ে গেছে যেমন মুসাইলামা কাজ্জাব তালহা বিন খালিদ আসওয়াদ আনসি সাজা মির্জা আলী মোহাম্মদ বাব মির্জা আলী হুসাইন বাহাউল্লাহ মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এবং যারা আসার বাকি আছে তারা নিশ্চয়ই আসবে দাজ্জালের আবির্ভাব দাজ্জাল কানা হবে সে এক চোখ বিশিষ্ট হবে এবং খোদা দাবি করবে ওর কপালে কাফেরে লেখা থাকবে প্রত্যেক মুসলমান তা পড়তে পারবে কিন্তু কাফিরেরা তা দেখবে না সে খুবই দ্রুততার সাথে পরিবহন করবে 40 দিনের মধ্যে পবিত্র মক্কা মদিনা ব্যতীত দুনিয়ায় সমস্ত জায়গায় ঘুরে আসবে 40 দিনের মধ্যে প্রথম দিন এক বছরের বরাবর হবে দ্বিতীয় দিন এক মাসে বরাবর হবে তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের পর আবার হবে এবং অবশিষ্ট দিনগুলি 24 ঘন্টা হিসেবে হবে এর ফেতনা টা খুবই মারাত্মক হবে একটি বাগান ও একটি অগ্নিকুণ্ড ওর সাথে থাকবে যার নাম যথাক্রমে জান্নাত ও জাহান্নাম রাখবে যেখানেই যাবে এদুটো ওর সাথে থাকবে ওর জান্নাত আসলে অগ্নিকুণ্ড এবং ওর জাহান্নামা আরামের জায়গা লোকদেরকে বলবে আমাকে খুদা স্বীকার করো যে ওকে খুদা স্বীকার করবে জান্নাতে স্থান দিবে এবং যে অস্বীকার করবে ওকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে মৃতকে জীবিত করবে জমিনকে যখন নির্দেশ দিবে সবজি উৎপন্ন করবে পরিত্যক্ত জায়গা দিয়ে যখন যাবে ওখানকার খনিজ সম্পদ মৌমাছির মতো পিছনে পিছনে চলতে থাকবে এরকম অনেক আজগুবি বিষয় দেখাবে কিন্তু মূলত এসব কিছু যাদুরই কারসাজি বাস্তবে কিছুই হবে না এজন্য সে ওখান থেকে চলে যাওয়ার পর লোকদের কাছে কিছু অবশিষ্ট থাকবে যখন পবিত্র মক্কা মদিনায় প্রবেশ করতে চাইবে ফিতিস্তাগণ মুখ ফিরিয়ে দিবেন দাজ্জালের সাথে ইহুদি সেনারাযোগ দিবে
হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আসমান থেকে অবতরণ যখন দাজ্জাল সারা পৃথিবী ঘুরে শাম সিরিয়া দেশে পৌঁছবে তখন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম দামেস্কের জামে মসজিদে অবতরণ করবেন ইমাম মাহদী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে ইমামতির জন্য হুকুম দিবেন হযরত ইমাম মাহদী নামাজ পড়াবেন অভিশপ্ত দাজ্জাল হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম এর শ্বাসের সুঘ্রাণে গলতে থাকবে যেমন পানির ধারা লবণ গলে থাকে তাঁর শ্বাসের ঘ্রাণ অতদূর পর্যন্ত যাবে যতদূর দৃষ্টি পৌছবে দাজ্জাল পালাবে তিনি তার পিছু নিবেন এবং ওর পিঠে বললম মেরে রে মেরে শেষ করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিবেন অতঃপর ঈসা আলাইহিস সালাম ক্রুশ চিহ্ন ভেঙ্গে ফেলবেন শুকর হত্যা করবেন যতই ইহুদি ও খৃষ্টান বেঁচে থাকবে ওরা সবাই তার প্রতি ঈমান আনবেন সে সময় সমগ্র পৃথিবীতে একমাত্র দিনে ইসলামিক কাইম হবে এবং একমাত্র আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বলবৎ থাকবে শিশু সাপের সাথে খেলবে বাঘ ছাগল একসাথে অবস্থান করবে তিনি আলাইহিস সালাম বিবাহ করবেন সন্তানাদি ও হবে 40 বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন ইন্তেকালের পর তাকে রোজা তাকে দাফন করা হবে হযরত ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ইমাম মাহদী আল্লাহু তায়ালা আনহু নবীয়ে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশোদ্ভূত হুসাইনী সয়ি্যদ হবেন তিনি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইমাম ও মুজতাহিদ হবেন কেয়ামতের সন্নিকটে যখন সারা দুনিয়া কুফরী বিস্তার লাভ করবে এবং ইসলাম শুধু পবিত্র মক্কা মদিনায় অবশিষ্ট থাকবে তোমার সমস্ত আউলিয়া ও আবদাল গন হিজরত করেন ওখানে চলে যাবেন মাসটি রমযান মাসই হবে আবদালগণ কাবা শরীফ তাওয়াফ করতে থাকবেন থাকবেন হযরত ইমাম মাহদী তথায়় থাকবেন আউলিয়ায়ে কেরাম উনাকে চিনে ফেলবেন উনার কাছে বায়াত হওয়ার জন্য সবাই আরজ করবেন কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করবেন তখন অদৃশ্য থেকে আওয়াজ আসবে হাজা খলীফাতুল্লাহীল মাহদী ফাসমাউ lahu ওয়াতিউহ ইনি আল্লাহর khalifa মাহদী ওনার কথা শুনো ওনার হুকুম মান্য কর সমস্ত লোক তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবেন অতঃপর ইমাম মাহদী আল্লাহ তা'আলা আনহু সবাইকে সাথে নিয়ে এসেছে সিরিয়া চলে যাবেন। ইয়াজুজ মাজুজ এর অবস্থা ইয়াজুজ মাজুজ হচ্ছে ইয়াফেস বিন নূহ আলাইহিস সালাম বংশোদ্ভূত একটি গোত্র এদের সংখ্যা অনেক বেশি এরা পৃথিবীতে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করত বসন্তকালের বের হতো তরতাজা জিনিসগুলো সে ফেলত শুষ্ক জিনিসগুলো বিনষ্ট করে ফেলত মানুষদেরকে খেয়ে ফেলত এমনকি অন্য জীবজন্তু সাপ বিচ্ছু কিছুই এদের থেকে রক্ষা পেত না হযরত যুলকারনাইন লোহার দেয়াল তৈরি করে ওদের আগমন বন্ধ করে দিয়েছেন যৌবন দাজ্জালকে হত্যা করে আল্লাহর নির্দেশে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম মুসলমানদেরকে তুর পাহাড়ে নিয়ে যাবেন তখন দেয়াল ভেঙ্গে ইয়াজুজ মাজুজ বাহিনী বের হবে এবং পৃথিবীতে বড় ফিতনা ফ্যাসাদের সৃষ্টি করবে লুটপাট মারামারি হত্যা ইত্যাদি করবে অবশেষে আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর দোয়ায় ওদেরকে ধ্বংস বিলীন করে দিবেন দার বাতুল আরদ এর আবির্ভাব এটা একটা অদ্ভুত ধরনের জন্তু সাফা পাহাড় থেকে বের হবে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত শহরগুলো পরিবহন করবে সুস্পষ্টভাবে কথা বলবে ওর হাতে ঈসা আলাইহিস সালাম এর লাঠি এবং হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম আন্টি থাকবে যারা মুসলমানদের মাথায় একটি উজ্জ্বল চিহ্ন এবং আন্টিদের কাফিরদের মাথায় একটি কালো দাগ দিবে সে সময় সমস্ত মুসলমান ও কাফের এর মধ্যে পার্থক্য প্রকাশ পাবে অর্থাৎ বাহ্যিক ভাবে চেনা যাবে এ চিহ্ন কখনো পরিবর্তন হবে না যে কখনও ঈমান আনবে না
Comments
Post a Comment