ডা. জাকির নায়েক এর ভ্রান্ত মতবাদ-০১
( দলীলসহ আপনাদের লাইক কমেন্ট আশা করছিনা শুধু শেয়ার চাই! )
♦ ডা. জাকির নায়েকের প্রাথমিক সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ-
ডা. জাকির নায়েক ভারতের বিখ্যাত শহর (মুম্বাই) এ ১৯৬৫ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি এ শহরে খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। অতঃপর মুম্বাই এ হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত কৃষ্ণ চন্দ্র চলের ‘রাম কলেজ’ থেকে এস, এস,সি, পাশ করেন। তারপর মুম্বাই এর ‘ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ’ থেকে এম,বি,বি,এস, ডিগ্রী অর্জন করে ডাক্তার হন।
জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তিনি কোনো দ্বীনী মকতব/মাদরাসা বা খানকায় লেখা-পড়া করেননি। যার ফলে দ্বীনী বিষয়ে সরাসরি কুরআন হাদীস বুঝার বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার যোগ্যতা তিনি লাভ করতে পারেননি।
ঘটনাচক্রে ১৯৯৪ সালে মুম্বাই শহরে দ্বীনের এক দাঈ ডা. আহমাদ দীদাতের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। সে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারী পেশা ছেড়ে দিয়ে দ্বীনী বই-পত্র চর্চার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন। তবে তিনি তার দ্বীন চর্চা কোনো যোগ্য আলেমের বাতলানো পদ্ধতিতে করেননি। বরং নিজে যেভাবে ভালো মনে করতেন, সে ভাবে করেছেন। (সূত্রঃ হাকীকতে যাকির নায়েক, পৃ. ৩০-৩২সায়্যিদ খালিক সাজিদ বুখারী কৃত)
হক্কানী আলেম-উলামাদের সুহবতে গিয়ে দ্বীনের সহীহ জ্ঞান লাভ না করার ফলে দ্বীনের প্রচারের ক্ষেত্রে তার দ্বারা লাভের চেয়ে ক্ষতিই ছড়াচ্ছে বেশি।
নিম্নে #দ্বীন_সম্পর্কে_তার_কিছু_ভ্রান্তি তুলে ধরা হলোঃ-
#আল্লাহ_তাআলা_সম্পর্কে_ভ্রান্তিঃ-
ডা. সাহেব বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলাকে ব্রহ্ম ও বিষ্ণু প্রভৃতি নামে ডাকা যাবে। (লেকচার সমগ্র, ১/২৬৫ পিস পাবলিকেশন্স, ঢাকা থেকে প্রকাশিত)
ইসলাম বলেঃ আল্লাহ তা‘আলাকে তার সত্তাগত নাম হিসেবে ‘আল্লাহ’ নামে ডাকতে হবে। আর যদি তাকে তার গুণগত নামে ডাকা হয়, তাহলে তিনি নিজের জন্য যে সকল নাম নির্ধারণ করেছেন, সে নামেই তাকে ডাকতে হবে। (যেমন রাহমান,রাহিম,গাফ্ফার,সাত্তার, রায্যাক ইত্যাদি।) (সূরা বনী ইসরাঈল-১১০, সূরা ত্বহা-৮, সূরা আ’রাফ-১৮০,সূরা হাশর- ২৪, বুখারী- ২৭৩৬)
#নবী_সম্পর্কে_ভ্রান্তিঃ-
ডা. সাহেব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হায়াতুন্নবী হওয়ার আক্বীদাকে অস্বীকার করেন। (লেকচার সমগ্রক চার সমগ্র-৫/৯৫)
অথচ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হলো, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং অন্যান্য নবীগণ আ. ইন্তিকালের পর কবরের মধ্যে জীবিত অবস্থায় আছেন। যদিও সেটা হুবহু দুনিয়ার মতো নয়। (মুসলিম-২/১৭৮, মুসনাদে আহমাদ-৩/১৫৬)
#সাহাবায়ে_কেরাম_সম্পর্কে_ভ্রান্ত_বক্তব্যঃ
ডা. সাহেব বলেনঃ ‘পরবর্তীতে যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তিকাল করলেন, আর লোকজন তখন তার কথাগুলোর উদ্বৃতি দিতে শুরু করলো এবং কেউ কেউ এমন কথাও বলতে শুরু করলো, যা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হয়তো বলেননি। (লেকচার ৫/৭৬)
অথচ ইসলাম বলে, সাহাবারা হলেন সত্যের মাপকাঠি। (সূরা বাকারা-৮) এবং হাদীসে তাদের সকলকে ন্যায় পরায়ণ বলা হয়েছে।
#কুরআন_সম্পর্কে_নাপাক_কথাঃ-
ডা. সাহেব বলেনঃ কুরআন স্পর্শ করতে উযূর প্রয়োজন নেই। বিনা উযূতে কুরআন স্পর্শ করতে পারবে এবং সূরা ওয়াকিয়ার ৮৯ নং আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দেন। (লেকচার -২/৬২৬)
অথচ বিনা উযূতে কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। এ ব্যাপারে উল্লেখিত আয়াত ছাড়াও হাদীসে স্পষ্ট বর্ণনা আছে যে, একমাত্র পবিত্র ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করতে পারবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ১/১৪৩) ছোট বা বড় নাপাক ওয়ালা ব্যক্তি কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না।
#হুর_সম্পর্কে_মন্তব্যঃ-
ডা. সাহেব বলেনঃ হুর পুরুষ এবং মহিলা উভয় প্রকারের হবে। পুরুষ হুর জান্নাতী নারীদেরকে পাবে, আর মহিলা হুর জান্নাতী পুরুষদেরকে পাবে। (লেকচার সমগ্র -১/৩৫৯)
অথচ কুরআন হাদীসের আলোচনা দ্বারা বুঝা যায় যে, হুর দ্বারা নারীসঙ্গিনী উদ্দেশ্য, পুরুষ হুর বলতে কিছু নেই। (সূরা রাহমান-৭২, তাফসীরে জালালাইন-পৃ.৪৪৬, তাফসীরে কুরতুবী-১১/৬১৪, তিরমিযী-২/৮০)
.
.
.
#ডাঃ_যাকির_নায়েক_কর্তৃক_প্রদত্ত_কতিপয়_ভুল_মাসায়েলঃ- (১০টি)
(১) ডা. সাহেব বলেনঃ একসঙ্গে তিন তালাক দিলে, তাতে এক তালাক পতিত হবে।
অথচ কুরআন শরীফ ও বুখারী শরীফসহ অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, কেউ তার স্ত্রীকে একসঙ্গে তিন তালাক দিলে (যদিও তা গুনাহের কাজ) তিন তালাক পতিত হবে। এবং হালালার পর পুনরায় বিবাহ ব্যতীত তাদের দেখা-সাক্ষাত, মেলা-মেশা সব কিছু যিনা হিসেবে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে সমস্ত ফুকাহায়ে কেরাম ও মুফতিয়ানে কেরাম একমত। (সূরা বাকারা-আয়াত নং, আবু দাউদ শরীফ-১/২৯৮)
(২) ডা. সাহেব বলেনঃ ফযরের আযান শুরু হলেও সাহরী করার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় রয়েছে, হাতে যে খাবার রয়েছে, তা শেষ করার সুযোগ রয়েছে। হতে পারে তা এক গ্লাস পানি বা পাত্রের বাকী অল্প খাবার। (লেকচার সমগ্র ৩/৩২৪)
ডা. সাহেবের উপরোক্ত মাসায়েল কুরআন-হাদীসের সাথে একেবারেই সাংঘর্ষিক। কারণ, কুরআন ও হাদীস দ্বারা বুঝা যায় সাহরী খাওয়া সুবহে সাদিকের পূর্বেই শেষ হতে হবে।
সুবহে সাদিকের পর সামান্য কিছু খেলেও রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (সুরা বাকারা-৮৭)
(৩) ডা. সাহেব বলেনঃ মহিলাদের চেহারা ঢেকে রাখা আবশ্যিক নয়। তাদের মুখে নেকাব দেওয়া ফরয নয়। (লেকচার সমগ্রঃ ১/১৪.১৭৫.৩৬৬.৪৪৮, ৫/১৬৯)
অথচ ইসলামের হুকুম হলো, নিকাব বা হিজাব দ্বারা তাদের চেহারা ঢেকে রাখতে হবে। (সূরা আহযাব-৫৩/৫৯)
(৪) ডা. সাহেব বলেনঃ ‘পোশাক যদি হারাম না হয়, সব শর্ত পূরণ করে, তাহলে আপনি কোর্তা, প্যান্ট, শার্ট যেটা পরে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, সেটা পরতে পারেন।’ (লেক. -২/৫৫০)
ডা. সাহেবের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া। কেননা, ইসলামে বাহ্যিক লেবাস-পোশাকের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পোশাকের ক্ষেত্রে কাফিরদের বেশ-ভূষা গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। হাদীস শরীফে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তাদের (বিধর্মীদের) সাদৃশ্যতা অবলম্বন করবে, সে তাদের দলভুক্ত। (মুসনাদে আহমাদ- হা.নং১১৯৯)
আর একথা সকলের নিকট স্পষ্ট যে, পোশাকের ক্ষেত্রে প্যান্ট-শার্ট বিধর্মীদের পোশাকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
(৫) ডা. সাহেব বলেনঃ জুম‘আর দিনে আগে ঈদের নামায আদায় করলে পরে জুম‘আর নামায আদায় করা আর না করা ঐচ্ছিক ব্যাপার। (লেকচার সমগ্র ৫/৪৭৬)
অথচ ইসলামের বিধান হল, পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও জুম‘আর নামায অপরিহার্য ফরয হুকুম। অন্য কোনো আমলের দ্বারা এগুলোর হুকুম শিথিল হবে না। তাই জুম‘আর দিন ঈদ হলে ঈদের নামায পড়লে ও জুম‘আর নামায অবশ্যই পড়তে হবে। (সুনানে দারা কুতনী পৃ. ৩৩৫, নাইলুল আওতার ৩/২২৪)
(৬) ডা. সাহেব বলেনঃ যখন তোমরা সফর করবে, তখন তোমরা দুই ওয়াক্তের নামায একসাথে পড়তে পারো। সফরের সময় কেউ এভাবে সালাত আদায় করলে, আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। (লেক. ২/৪৩)
এক্ষেত্রে তিনি পবিত্র কোরআনের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। অথচ হানাফী মাযহাবে এ হাদীসের অর্থ, এক ওয়াক্তকে আরেক ওয়াক্তে নিয়ে পড়া নয়। কারণ, তা হারাম ও কবীরা গুনাহ। হাদীসের আসল ব্যাখ্যা হলো, যান বাহন থেকে বারবার উঠা-নামার ঝামেলা এড়াতে ওয়াক্তের শেষের দিকে একবার অবতরণ করে, সেই ওয়াক্তের নামায পড়ে নিবে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে দ্বিতীয় ওয়াক্ত এসে গেলে সেটাও পড়ে নিবে। তাহলে একই অবতরণে দুই ওয়াক্ত নামায পড়া হলেও প্রতিটি তার ওয়াক্তমত পড়া হয়।
(৭) ডা. সাহেব বলেনঃ আমাদেরকে ইসলামী শরীআহ মেনে এরকম সিনেমা বানাতে হবে, যেটা কুরআন হাদীসের বিরুদ্ধে যাবে না। শরীআহ মেনেই বানাবো। শুধু সিনেমাই নয়, আমাদের নাটক বানাতে হবে, ডকুমেন্টারিও বানাতে হবে। (লেকচার সমগ্র, ২/২৩১)
অথচ ইসলামী শরী‘আতে সিনেমা-নাটক সম্পূর্ণরূপে হারাম। কেননা, ছবি ছাড়া এগুলো তৈরী অসম্ভব। আর প্রাণীর ছবির ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, কেয়ামতের দিন ছবি অঙ্কনকারীকে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। (বুখারী শরীফ-)
(৮) ডা. সাহেব বলেনঃ মাসিক চলাকালীন নারীগণ নামায, রোযা, কাবাঘর তাওয়াফ এবং ইতিকাফ ছাড়া আর সব ইবাদত করতে পারবে। ঋতুবর্তী নারী রমযানের শেষ দিন যা করতে পারবে তা হলো, ঐ সময়টি সে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে পারে। এ ছাড়া আর যে কাজ তারা করতে পারে তা হলো, তারা সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়বে এবং তারা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে। (লেক, ৫/৩৮৯)
অথচ হাদীস শরীফে স্পষ্ট এসেছে, الحائض والجنب لا يقرأ القرأن অর্থাৎ হায়েযা মহিলা এবং নাপাক ব্যাক্তি যেন কুরআনের কোনো অংশ পাঠ না করে । (বুখারী, মুসলিম)
এ কারণে মাযহাব চতুষ্টয়ের মধ্যে এ ব্যাপারে ইজমা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, হায়েযা মহিলা বা যার উপর গোসল ফরয তাদের জন্য কুরআন তিলাওয়াত হারাম।
(৯) ডা. সাহেব মাযহাবের ইমামের তাকলীদের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করে এ সম্পর্কে তার ভ্রান্ত মত জনগণের সামনে তুলে ধরেন। ইমামে আ’যম আবু হানীফা (রহ.) সহ অনেক ইমাম ও সালাফকে বিষাক্ত শব্দের নিশানা বানিয়েছেন। (লেকচার সমগ্র)
(১০) ডা. সাহেব প্রথমে পরষ্পর বিরোধী কিছু হাদীস এবং আছার তুলে ধরে বলেনঃ সুতরাং তারাবীহ্ যত রাকা‘আত খুশী তত রাকা‘আত আদায় করা যাবে। (লেকচার সমগ্র, ৫/২৪৭)
অথচ হাদীস শরীফে স্পষ্ট এসেছে, ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে, ‘নিশ্চয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযানে ২০ রাকা‘আত (তারাবীহ্) এবং বিতর পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-২/২৮৬)
আর তারাবীহ্ ২০ রাকা‘আত এ ব্যাপারে মাযহাব চতুষ্টয়ের সকল ইমাম ঐক্যমত পোষণ করেন যে, তারাবীহ্ এর নামায ২০ রাকা‘আতের কম পড়া যাবে না। মালেকী মাযহাবে ৩৬ রাকা‘আত তারাবীহ্। তবে কোনো ইমামই ৮ রাকা‘আত তারাবীহ্ পড়াকে বৈধ বলেননি। তাহলে ডা. সাহেব এর কথা কীভাবে সহীহ হতে পারে?
লিখনেঃ
মুফতী মনসূরুল হক দা.বা.
উস্তাজুল ইফতা- জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়া, মুহাম্মদপুর, ঢাকা।
.
.
.
.
.
#মসজিদে_ইতিকাফ_না_করলে_মহিলাদের_ইতিকাফ_হবে_না?
ডাঃ জাকির নায়েকের ভ্রান্ত বক্তব্যের জবাব
>>>>>>>>>>________________<<<<<<<<<<<<
#প্রশ্নঃ-
আপনাদের আহলে হক মিডিয়ার ওয়েব পেইজ পড়ে অনেক কিছু জানতে পারছি। এই ঋণ শোধ করার কোন উপায় নেই। আল্লাহ আপনাদের এই দ্বীনী খিদমাতের বিনিময়ে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। এই দুআ করি।
আমি জাকির নায়েকের লেকচান শুনি। তবে উদ্দেশ্য হল উনি দ্বীনে ইসলামের ব্যাপারে কী কী ভুল মাসায়েল দিচ্ছেন এ বিষয়ে জানার জন্য।
গত কিছুদিন আগে উনার একটা লেকচারে জানতে পারলাম, উনি লেকচারে ফাইনাল ষ্টেইটম্যান বলছেন যে, মহিলারা বাসায় ইতিকাফ করতে পারবে না।
এতেকাফের জন্য মসজিদ একটা শর্ত।
মহিলা সাহাবী বিশেষ করে হযরত আয়শা রাঃ এর হাদীস। সহীহ বুখারী ৩য় খন্ডের, ইতিকাফ অধ্যায়, হাদীস নং ২০২৬ এবং পবিত্র কুরআনের বাকারা ১৮৭।
কুরআন ও হাদীসের আলোকে জানতে চাচ্ছি। দয়া করে একটু সময় করে উত্তর জানাবেন।
[ইংরেজী শব্দে করা প্রশ্নটি বুঝার সুবিধার্তে হুবহু বাংলা শব্দে পরিবর্তন করে দেয়া হল। কর্তৃপক্ষ ]
________________________________________
#উত্তরঃ-
আল্লাহ তাআলা আপনাকেও কবুল করুন। আমাদের প্রতি আপনার দ্বীনের জন্য ভালবাসা উভয়ের নাজাতের উসিলা হোক। আমীন।
জাকির নায়েক সাহেবের উপরোক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। মহিলাদের মসজিদে ইতিকাফ করার চেয়ে বাড়িতে তার নিজের ঘরে ইতিকাফ করাই সর্বোত্তম। যদিও মসজিদে পর্দার সাথে ইতিকাফ করলেও আদায় হবে।
তবে মহিলাদের ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হল নিজের আপন ঘর। যেমন মহিলাদের নামাযের উত্তম স্থান হল নিজের আপন ঘর। মসজিদ নয়।
জাকির নায়েক সাহেব দাবী করলেন, মহিলাদের ইতিকাফ মসজিদে হওয়াই শর্তারোপ করেছেন। তার এ দাবীর পক্ষে যে দু’টি দলীল দিয়েছেন। আমরা প্রথমে তা দেখে নেই।
প্রথমে আয়াতটি দেখিঃ
ﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢْ ﻟَﻴْﻠَﺔَ ﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡِ ﺍﻟﺮَّﻓَﺚُ ﺇِﻟَﻰٰ ﻧِﺴَﺎﺋِﻜُﻢْ ۚ ﻫُﻦَّ ﻟِﺒَﺎﺱٌ ﻟَّﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢْ ﻟِﺒَﺎﺱٌ ﻟَّﻬُﻦَّ ۗ ﻋَﻠِﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻧَّﻜُﻢْ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﺨْﺘَﺎﻧُﻮﻥَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﻓَﺘَﺎﺏَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﻋَﻔَﺎ ﻋَﻨﻜُﻢْ ۖ ﻓَﺎﻟْﺂﻥَ ﺑَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﻭَﺍﺑْﺘَﻐُﻮﺍ ﻣَﺎ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢْ ۚ ﻭَﻛُﻠُﻮﺍ ﻭَﺍﺷْﺮَﺑُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰٰ ﻳَﺘَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂُ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂِ ﺍﻟْﺄَﺳْﻮَﺩِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ۖ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗِﻤُّﻮﺍ ﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺒَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢْ ﻋَﺎﻛِﻔُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ ۗ ﺗِﻠْﻚَ ﺣُﺪُﻭﺩُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﻘْﺮَﺑُﻮﻫَﺎ ۗ ﻛَﺬَٰﻟِﻚَ ﻳُﺒَﻴِّﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺘَّﻘُﻮﻥَ [ ٢ : ١٨٧ ]
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। [সূরা বাকারা-১৮৭]
.___________
উপরোক্ত আয়াতের কোন অংশ দিয়ে জাকির নায়েক সাহেব মহিলাদের ইতিকাফ শুদ্ধ হবার জন্য মসজিদকেই আবশ্যক বানালেন...?
উক্ত আয়াতের কোথাও কি মহিলাদের মসজিদে ইতিকাফের কথা এসেছে.....?
আয়াতে রোযাদারের বিধান, এবং ইতিকাফকারীর বিধান বলা হয়েছে। ইতিকাফকারীর ক্ষেত্রে এসেছে, তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিশো না।
অর্থাৎ ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আর এ মেলামেশার জন্য মহিলাদের মসজিদে ইতিকাফ করার কী প্রয়োজন..? এছাড়া কী হতে পারে না?
সহজ কথায়, উক্ত আয়াতে কারীমার কোথায় মহিলাদের ইতিকাফ শুদ্ধ হতে হলে মসজিদেই থাকতে হবে, এমন কোন কথা বর্ণিত হয়নি।
সুতরাং জাকির নায়েক সাহেব তার একটি ভ্রান্ত দাবী করে উক্ত আয়াতকে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করে একটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন মাত্র।
এবার আমরা তার রেফারেন্স দেয়া বুখারীর বর্ণনাটি দেখে নেই।
.
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ، – ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -: « ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻌْﺘَﻜِﻒُ ﺍﻟﻌَﺸْﺮَ ﺍﻷَﻭَﺍﺧِﺮَ ﻣِﻦْ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﺛُﻢَّ ﺍﻋْﺘَﻜَﻒَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟُﻪُ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻩِ »
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মিণী আম্মাজান হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২০৩৬]
প্রথমত “মসজিদ ছাড়া মহিলাদের ইতিকাফ হবে না” এমন কথা উক্ত হাদীসের কোথাও নেই।
দ্বিতীয়ত “মহিলাদের মসজিদেই ইতিকাফ করতে হবে” এমন কোন নির্দেশনাও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত হাদীসে বিদ্যমান নেই।
তৃতীয়ত নবীজীর বিবি আমাদের আম্মাজনগণ মসজিদেই ইতিকাফ করেছিলেন এই বিষয়টিও উক্ত হাদীসে পরিস্কার নয়।
তাহলে উক্ত হাদীস পেশ করে “মহিলাদের মসজিদেই ইতিকাফ করতে হবে,এছাড়া তাদের ইতিকাফ শুদ্ধ হবে না” এমন দাবী করা অজ্ঞতা বৈ আর কী হতে পারে...?
এবার আমরা বুখারী শরীফে উপরোক্ত হাদীসের পর ﺑَﺎﺏُ ﺍﻋْﺘِﻜَﺎﻑِ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ তথা মহিলাদের ইতিকাফ অধ্যায় শিরোনামে যে অধ্যায় আনা হয়েছে, সেখানে বর্ণিত হাদীসটি আমরা দেখে নেই!
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ، ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻳَﻌْﺘَﻜِﻒُ ﻓِﻲ ﺍﻟﻌَﺸْﺮِ ﺍﻷَﻭَﺍﺧِﺮِ ﻣِﻦْ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ، ﻓَﻜُﻨْﺖُ ﺃَﺿْﺮِﺏُ ﻟَﻪُ ﺧِﺒَﺎﺀً ﻓَﻴُﺼَﻠِّﻲ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ ﺛُﻢَّ ﻳَﺪْﺧُﻠُﻪُ، ﻓَﺎﺳْﺘَﺄْﺫَﻧَﺖْ ﺣَﻔْﺼَﺔُ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺃَﻥْ ﺗَﻀْﺮِﺏَ ﺧِﺒَﺎﺀً، ﻓَﺄَﺫِﻧَﺖْ ﻟَﻬَﺎ، ﻓَﻀَﺮَﺑَﺖْ ﺧِﺒَﺎﺀً، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺭَﺃَﺗْﻪُ ﺯَﻳْﻨَﺐُ ﺍﺑْﻨَﺔُ ﺟَﺤْﺶٍ ﺿَﺮَﺑَﺖْ ﺧِﺒَﺎﺀً ﺁﺧَﺮَ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﺻْﺒَﺢَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺭَﺃَﻯ ﺍﻷَﺧْﺒِﻴَﺔَ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﻣَﺎ ﻫَﺬَﺍ؟ » ﻓَﺄُﺧْﺒِﺮَ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : « ﺃَﻟْﺒِﺮَّ ﺗُﺮَﻭْﻥَ ﺑِﻬِﻦَّ » ﻓَﺘَﺮَﻙَ ﺍﻟِﺎﻋْﺘِﻜَﺎﻑَ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﺸَّﻬْﺮَ، ﺛُﻢَّ ﺍﻋْﺘَﻜَﻒَ ﻋَﺸْﺮًﺍ ﻣِﻦْ ﺷَﻮَّﺍﻝ
.ٍ
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রমযানের শেষ দশকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করতেন। আমি তাবু তৈরী করে দিতাম। তিনি ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে তাতে প্রবেশ করতেন। (নবী সহধর্মিণী) হাফসা (রাঃ) তাঁবু খাটাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি দিলে হাফসা (রাঃ) তাবুঁ খাটালেন। (নবী সহধর্মীণী) যয়নাব বিনতে জাহশ (রাঃ) তা দেখে আরেকটি তাবু তৈরি করলেন। সকালে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুঁগুলো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এগুলো কি.. ? তাকে জানানো হলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকি হাসিল হবে..? এ মাসে তিনি ইতকিাফ ত্যাগ করলেন এবং পরে শাওয়াল মাসে ১০ দিন (কাযা স্বরুপ) ইতিকাফ করেন।
--[সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২০৩৩, ইফাবা, হাদীস নং-১৯০৫]
হাদীসটি পড়ুন। ভাল করে পড়ুন। মনযোগ দিয়ে দেখুনতো কী এসেছে হাদীসে..?
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দেখলেন হযরত হাফসা রাঃ এবং হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ রাঃ মসজিদে ইতিকাফ করতে তাবু টানালেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষিপ্ত হয়ে বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকি হাসিল হবে..?এরপর তিনি রাগ করে সেই বছর রমজানে ইতিকাফই করেননি।
.______
এর মানে কী...? নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কী শিক্ষা দিলেন...? মহিলারা মসজিদে ইতিকাফ করলে নবীজী এতে রাজী? নাকি অসন্তুষ্ট...?
মহিলারা মসজিদে ইতিকাফ করলে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতটাই ক্ষিপ্ত হয়েছেন যে, তিনি সে বছর ইতিকাফই ছেড়ে দিয়েছেন।
শুধু কি তাই..? তিনি প্রশ্ন করেছেন এভাবে মহিলারা মসজিদে ইতিকাফ করলে কি সওয়াবের ভাগিদার হবে..? অর্থাৎ মসজিদে ইতিকাফ করলে বেশি সওয়াব হবার যে অলীক ধারণা করা হয়েছিল তা ভুল। বরং বাড়িতে ইতিকাফ করলেই মহিলাদের জন্য বেশি সওয়াব হয়।
তাহলে বুখারীর হাদীস আমাদের কাছে পরিস্কার। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের মসজিদে ইতিকাফকে মারাত্মকভাবে অপছন্দ করেছেন। সেই সাথে একাজ সওয়াবের কাজ নয় মর্মেও সতর্ক করেছেন।
সুতরাং মহিলাদের মসজিদে ইতিকাফ করা জায়েজ হলেও মোটেও উত্তম নয়। বরং বাড়িতে, নিজের ঘরে ইতিকাফ করাই অধিক সওয়াবের মাধ্যম। সেই সাথে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ মান্য করা হয়। তাই মসজিদে নয়। মহিলাদের আপন ঘরেই ইতিকাফ করা উচিত।
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ
দ্বিতিয় পর্ব টা ও রেফারেন্স সহ লিখা হয়ে যাবে অতি দ্রুত,,, পাঠক গনের মন্তব্য ও আগ্রহর উপর ভিত্তি করে পুষ্ট করা হবে ইনশাআল্লাহ।
Comments
Post a Comment