'লিভটুগেদার'
বেশ ক'বছর আগের ঘটনা। খবরের কাগজে পড়েছিলাম। দিল্লীর হতদরীদ্র এক কাঠমিস্ত্রী। চোখের সামনে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষন করতে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেন নি। মিস্ত্রিকাজে ব্যবহৃত বার্টেল দিয়ে তিনি ধর্ষককে হত্যা করলেন। গ্রেফতার করে আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হল মিস্ত্রিকে।
আদালত মিস্ত্রির ফাঁসিদণ্ড ঘোষনা করলেন। পর্যায়ক্রমে ফাঁসিদণ্ডের আসামীকে আদালতের জিজ্ঞাসা; তোমার শেষ ইচ্ছা কি বলো? তা পূরণকরা হবে। জবাবে মিস্ত্রি বলল, আমার শেষ ইচ্ছা হল, ফাঁসিররায় ঘোষনাকারী মাননীয় বিচারকের বৌকে তাঁর সামনে প্রকাশ্যে একটি চুৃমো খাবো!
কথাটি শুনে তেলেবেগুনে জলে উঠলেন বিচারক। মেজাজ দেখিয়ে মারমুখি হয়ে তেড়ে আসলেন মিস্ত্রির দিকে। বললেন, হ্যাঁ! তোর এতবড় সাহস। আমার বৌকে চুমো খেতে বলিস? তোকে আমি খুনকরে ফেলবো।
মিস্ত্রির সরল জবাব। মাননীয় বিচারক, আপনি রেগে যাবেন না। আপনারটা যেমন বৌ, গরীব হলেও আমারটাও কিন্তু বৌ। আমি আপনার বৌকে ধর্ষন করিনি, শুধু চুমো খেতে বলেছি। তাতেই আপনি আমাকে খুন করতে বললেন। আর চোখের সামনে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষনরত দেখারপর ধর্ষককে খুনকরা ছাড়া আমি কিই-বা করতে পারতাম?
সম্প্রতি দেশের আদালত লিভটুগেদার বা প্রকাশ্যে বেগানা যুবক-যুবতীর অবকাশ যাপনকে বৈধতা দিয়েছেন। জানিনা, এ রায় কি শুধু গরীবের মেয়েদেরকে ধনীদের একচেটিয়া ভোগকরার রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি?
নাকি পুরোদেশটাকে পতিতালয় বানাতে লুচ্চাগুলোর সুগভীর কোন চক্রান্ত?
সমঅধিকারের প্রবক্তা, রায়প্রদানকারী বিচারপতিরা কি দিবেন, তাদের ঘরের মেয়েগুলোকে এভাবে অবৈধ টুগেদারের অংশ হতে? নাকি যত আইনের খড়গ কেবল দরীদ্র মিস্ত্রিদের জন্য?
যত্তসব লুচ্চার দল! মনেরাখা উচিত, তোমাদের রায়ের ফাঁদে হয়তো একদিন তোমরাই ফতুর হয়ে কেঁদে মরবে। আমাদের কোন ভয় নাই। কারণ আমরা যে তোমাদের এ নগ্ন- আইনের অনুসারী নই।
আমাদের আইন সু-পরিচ্ছন্ন মহাগ্রন্থ ফুরকান। যা সত্য ও মিথ্যার মাঝে সুস্পষ্টভাবে পার্থক্য গড়ে দেয়।
Comments
Post a Comment