কথিত আহলে হাদীসদের দলীলহীন ৫০টি মতবাদ **************************************************************************************** কুরআন হাদীস বিরোধী আহলে হাদীস মতাদর্শের কিছু নমুনা নিচে উপস্থাপন করা হল- মতবাদ-১ গায়র মুকল্লিদদের নিকট কাফেরদের জবাই করা পশু হালাল। আর তা খাওয়া জায়েজ। {গায়র মুকাল্লিদ আলেম নওয়াব সিদ্দিক হাসান খান রচিত “দলীলুত তালেব”-৪১৩, গায়র মুকাল্লিদ আলেম নূরুল হাসান খান রচিত আরফুর জাদী-২৪৭, নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করে কুরআন হাদীসের রেফারেন্স না দিয়ে এখানে তারা আল্লামা শাওকানী রহ. এর অন্ধ তাকলীদ করেছেন। কুরআন ও হাদীসের দলিল ছাড়া এ তাকলীদ কি [কথিত আহলে হাদীসদের বক্তব্য অনুসারে] শিরক নয়? মতবাদ-২ একই সময়ে যতজন মহিলাকে ইচ্ছে বিয়ে করা জায়েজ। চার জনই হতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। {গায়র মুকাল্লিদ আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান রচিত “যফরুল লাজী”-১৪১, ১৪২, এবং আরফুল জাদী-১১৫} এ মতবাদটি সরাসরি কুরআনের আয়াত বিরোধী। এখানে ও কথিত আহলে হাদীসরা কুরআন হাদীস ছেড়ে আল্লামা শাওকানী রহ. এর অন্ধ তাকলীদের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন। মতবাদ-৩ স্থলভাগের ঐ সকল ...
প্রথমেই বলে নিতে চাই যে আমার এই কথা ইয়াজিদের পক্ষে উকালতি করার জন্য নয়; বরং মূল সত্যকে বিশ্বের সকল বাংলাভাষী মুসলিমের সামনে তুলে ধরার জন্যে। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (র.) বলেন: সকল মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকের ঐকমতে ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া হুসাইন (রাঃ) কে হত্যার আদেশ দেন নি। বরং তিনি উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে চিঠির মাধ্যমে আদেশ দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন ইরাকের জমিনে হুসাইন (রাঃ) কে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে বাঁধা দেন। এতটুকুই ছিল তার ভূমিকা। বিশুদ্ধ মতে তার কাছে যখন হুসাইন (রাঃ) নিহত হওয়ার খবর পৌঁছল তখন তিনি আফসোস করেছেন। ইয়াজিদের বাড়িতে কান্নার ছাপ প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি হুসাইন (রাঃ) পরিবারের কোন মহিলাকে বন্দী বা দাসীতে পরিণত করেন নি; বরং পরিবারের সকল সদস্যকে সম্মান করেছেন। সসম্মানে হুসাইন (রাঃ) পরিবারের জীবিত সদস্যদেরকে মদিনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। যে সমস্ত রেওয়াতে বলা হয়েছে যে, ইয়াজিদ আহলে বাইতের মহিলাদেরকে অপদস্থ করেছেন এবং তাদেরকে বন্দী করে দামেস্কে নিয়ে বেইজ্জতি করেছেন, তার কোন ভিত্তি নেই। বনী উমাইয়াগণ বনী হাশেমকে খুব সম্মান করতেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ যখন ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ ব...
আমরা অনেক সময় ইসলামী সঙ্গীত অর্খাৎ গজল শুনে থাকি। এমন কি অনেক সময় অনেক আলেমকেও গজল শুনতে দেখা যায়। এখন আমার প্রশ্ন হলো, ইসলামী সংগীত তথা গজল গাওয়া বা শুনা কি জায়েয? শরীয়ত এ ব্যপারে কি বলে? কিতাবাদী অধ্যা্য়নে এ কথা জানা যায় যে, ইসলামী সংগীত তথা হামদ-নাত, জাগরণী সংগীত ইত্যাদি গাওয়া এবং শোনা জায়েজ আছে। শর্ত হলো, এর মাঝে বাজনা ইত্যাদি থাকতে পারবে না। যদি বাজনা ইত্যাদি থাকে তাহলে গানের হুকুমে হয়ে হারাম হয়ে যাবে। কোন ধরনের শিরিকী কোন কথা থাকতে পারবে না। শিরিকের কিছু থাকে তাহলে হারাম হবে। এক কথায় কোন হারাম কথা বা হারাম কিছু থাকতে পারবে না। এর সাথে সাথে খেয়াল করতে হবে, যেন এর দ্বারা ইবাদতের মাঝে গাফলতী কিংবা ক্ষতি না হয়। যদি হয় তাহলে জায়েয হবে না। হাদীসে আছে। حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيَّ يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَا حَسَّانُ أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ অর্থ, হযরত হাসসান ...
Comments
Post a Comment